বাসায় নিঃসঙ্গ সময় কাটে শোভন-রাব্বানীর
শেরপুর ডেস্ক: ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানোর পর প্রায় নিঃসঙ্গ সময় পার করছেন রেজওয়ানুুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি ঘিরে হাজারও নেতাকর্মীর সেই ভিড় ও মোটরসাইকেলের বহর আর নেই। ঘনিষ্ঠ হিসেবে যাদের পদ দিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই এড়িয়ে চলছেন। গণভবনে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় বিদেশ সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানানোরও সুযোগ হয়নি। ফলে বাসাতেই অধিকাংশ সময় পার করছেন শোভন-রাব্বানী। ছাত্রলীগের সাবেক এই দুই শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
শোভন-রাব্বানীর ঘনিষ্ঠ অন্তত ১৩ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় । তারা বলেন, শীর্ষ নেতাদের পদ হারানোর খবর শুনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। নতুন নেতাকে বরণ এবং পুরনো নেতাকে বিদায় জানানো- এই দুটি বিষয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েন অনেকেই। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শোভন-রাব্বানীর সঙ্গে সাাৎ করেন। সেখানে তারা বলেন, কে কার লোক সেই হিসেবে নয়- যোগ্যতা অনুযায়ী ছাত্রলীগের সব পর্যায়ের নেতৃত্ব ঠিক করা হবে। এ সময় অনেক নেতাকর্মীকেই কাঁদতে দেখা গেছে। বিপরীত চিত্র ছিল নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের ঘনিষ্ঠজন ও পদবঞ্চিত অর্ধশত নেতার মধ্যে। তারা শোভন-রাব্বানীর অপসারণে টিএসসিতে উল্লাস করেন।
শোভন-রাব্বানীর ঘনিষ্ঠরা জানান, জয়-লেখক দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের ‘কাছের মানুষ’ হওয়ার চেষ্টা ছিল সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থাভাজনদের বড় একটি অংশের। ফলে শোভন-রাব্বানীর বাসার নিচে নেতাকর্মীদের সেই পুরনো ভিড় শেষ হয়ে যায়। অনেকটা একা সময় পার করতে থাকেন সাবেক শীর্ষ নেতারা। তবে জয়-লেখকের কাছে গিয়ে যারা ‘সুবিধা’ করতে পারেনি তাদের একটি অংশ এখন আবার শোভন-রাব্বানীর কাছে ফিরেছেন।