শেরপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পাঁচ বাড়ি লকডাউন
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ঢাকা ফেরত এক গার্মেন্টস্ কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঐ বাড়িটি সহ আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১২মে) বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন ওইসব বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে লোকজনের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন মন্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত দুইদিন আগে ঢাকা থেকে আবু বকর ছিদ্দিক নামের এক গার্মেন্টস্ কর্মী তার ইউনিয়নের শেরুয়া গ্রামস্থ বাড়িতে আসেন। তার শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকলেও ঢাকার কর্মস্থলে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু গ্রামে এসে ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থেকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলাফেরা করছিল। তাই বিষয়টি উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রির্পোট পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত লোকজনের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তির বাড়ি সহ আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। তাদের যে কোন প্রয়োজনে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সেখানে মোতায়েন রাখা হয়েছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ সহ সবধরণের সহযোগিতা দেবেন বলেও দাবি করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা ফেরত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তাই এরআগে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এছাড়া ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করোনার নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩মে পর্যন্ত মোট ১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১১৮টি পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বাকি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান এই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।