যেভাবে উত্থান সম্রাটের
শেরপুর ডেস্ক: দুই যুগ আগে সাধারণ একজন ওয়ার্ড নেতা থাকলেও ক্যাসিনো কারবার থেকে এখন বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক ঢাকা মহানগর দণি যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ১৯৯৩ সালে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান সম্রাট। সে সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকেন সম্রাট। নিজের ওয়ার্ড সভাপতি লুৎফুর রহমানকে প্রহারের অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। কিন্তু ওই ঘটনায় সম্রাট সহ তিনজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। তবে তারপর থেকে মতিঝিলের কাব পাড়ায় সম্রাটের আনাগোনা বেড়ে যায়।
নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া এক যুবলীগ নেতা বলেন, “২০০৩ সালে যুবলীগের কাউন্সিলে জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও মির্জা আজম দায়িত্ব পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্রাটের আসা-যাওয়া বেড়ে যায়।” তখনই ঢাকা মহানগর দণি যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান মহিউদ্দিন মহি এবং সাধারণ সম্পাদক হন নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সে সময় মহির সঙ্গে দ্ব›েদ্বর কারণে শাওন নিজের হাত শক্ত করতে সম্রাটকে দেিণর সাংগঠনিক সম্পাদক করেন। শাওনের বিশ্বস্ত হিসেবেই সম্রাট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট মতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরশনের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন।
২০১২ সালে ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্রাট ঢাকা মহানগর দণি যুবলীগের সভাপতি হন। সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আরমানকে সহ-সভাপতি করে নেন তিনি। আরমান অতীতে কখনই আওয়ামী লীগ বা এর কোনো সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।