শেরপুরে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের মারপিটে বাবা-মা হাসপাতালে
ষ্টাফ রির্পোটার:‘জামাইয়ের চাকুরীর জন্য বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা দিছিলাম। এরপর আরও দুই লাখ দিয়েছি। তারপরও আমার মেয়ের সুখ হয়নি। আমাদেরও মার খেয়ে হাসপাতালে আসতে হলো’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের বাবা জিল্লুর রহমান।তিনি আরো জানান, জামাইয়ের ভাইদের মারপিটে আমার স্ত্রী আরজিনা খাতুন (৪৫) মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বর্তমানে দুইজনই হাসপাতালে ভর্তি।
এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জুয়ানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরজিনা খাতুন জানান, এক বছর পুর্বে মেয়ের (১৮) সুখের জন্য প্রতিবেশী নুর হোসেনের ছেলে হুমায়ুন আহমেদ (৩১) এর ফায়ার সার্ভিসে চাকরীর জন্য দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর কোনরকম কাবিননামা ছাড়াই বিয়ে হয়। জামাইয়ের ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভারের চাকরীও হয়। কিন্তু মেয়ের কপালে সুখ হয়নি।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, শুক্রবার শ্বশুড়বাড়িতে গেলে আমার শ্বাশুড়ী, ভাসুর,দেবররা আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। কিছুক্ষণ পর আমার বাবা ও মা গেলে তাদের মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে তাদের নিয়ে হাসপাতালে আসি। এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার এসআই রুম্মান হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছেলের বাবা নুর হোসেন (৬০) কে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।