করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়ালো,মৃত্যু ৩ লাখ ১১ হাজার
আজকের শেরপুর ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ বিশ্বের ২১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৯২৮ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৪৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লাখ ৩ হাজার ২৩৭ জন মানুষ। এখনো কার্যকর কোন প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানীসহ বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইট থেকে রোববার (১৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোর সোয়া ৪টায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেশী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
করোনা সংক্রমণের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক ও ইরান। মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন।
সংক্রমণ তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ভারত। ১২ নম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর অবস্থান। করোনার উৎসস্থল চীন আছে সংক্রমণ তালিকার ১৩ নম্বরে। সংক্রমণ তালিকার ২০ নম্বরে পাকিস্তান এবং ৩০ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩ হাজার ৬৮৪ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ হাজার ৪৫২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ জন মানুষ।
স্পেনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ২৫৩ জন মানুষ।
রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৪৩ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩ হাজার ১৬৬ জন মানুষ।
যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ১৬১ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৬৬ জনের। দেশটি সরকারিভাবে সুস্থতার কোন পরিসংখ্যান দেয়নি।
ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ২০৪ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৩৬৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৪ হাজার ৯৭০ জন মানুষ।
ইতালিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০, মৃত্যু ৩১ হাজার ৭৬৩; ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৫, মৃত্যু ২৭ হাজার ৬২৫; জার্মানীতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১, মৃত্যু ৮ হাজার ১৯; তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭, মৃত্যু ৪ হাজার ৯৬ এবং সংক্রমণ তালিকার ১০ নম্বরে থাকা ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯২ জন মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৩৭ জনের।
সংক্রমণ তালিকার ১১ নম্বরে উঠে আসা ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪৮ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৭১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৪ হাজার ২২৪ জন মানুষ।
সংক্রমণ তালিকার ১১ নম্বরে উঠে আসা পেরুতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৪১ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫২৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ হাজার ২৭২ জন মানুষ।
সংক্রমণ তালিকার ১৩ নম্বরে নেমে আসা চীনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৪১ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮ হাজার ২১৯ জন মানুষ।
সংক্রমণ তালিকার ২০ নম্বরে থাকা পাকিস্তানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৯৯ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮৩৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৮৮০ জন মানুষ।
সংক্রমণ তালিকার ৩০ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ১১৭ জন মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণকে পার্ল হারবার এবং টুইন টাওয়ারে হামলার চেয়েও মারাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প ও তার মিত্ররা করোনা মাহামারীর জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করছে। তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। শুরুতে বিপাকে পড়লেও প্রায় সাড়ে চার মাসে প্রাদুর্ভাব অনেকটাই সামলে উঠেছে করোনার উৎসস্থল চীন। যদিও নতুন করে হারবিন শহরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।