পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের সব জামাত মসজিদে
আজকের শেরপুর ডেস্ক: স্বাভাবিক সময়ে ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এবার দেশের কোথাও ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। জামাতের আয়োজন করা হবে মসজিদে। নামাজ শেষে হাত মিলিয়ে মুসল্লিদের কোলাকুলিও হবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত মসজিদে আদায়ের এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণের আহবান জানিয়েছেন আলেমরাও।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায় প্রসঙ্গে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। করোনাভাইরাসের কারণে লাখ-লাখ মুসল্লি নিজেদের প্রিয় ঈদগাহে এবার নামাজ পড়তে পারবেন না। ঈদগাহের গ্র্যান্ড খতিব আল্লামা ফরীদউদ্দিন মাসঊদ বলেন, ‘করোনা মহামারির বিরুদ্ধে সারা মানবজাতি লড়াই করছে। আল্লাহর রহমতে এবারের ঈদে সারা মুসলিম জাহানের মানুষ এরথেকে মুক্তি পেতে দোয়া করবে। তবে, এবার আমাদের শোলাকিয়া ঈদগাহসহ দেশের অন্য ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া যাবে না, নামাজ আদায় করতে হবে মসজিদে।’
এ প্রসঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে ঈদ জামাত নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বলা হয়েছে। জায়গা না হলে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে।
আনিস মাহমুদ আরও বলেন, দেশের খ্যাতনামা আলেমদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। যাতে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।