বুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ
শেরপুর ডেস্ক: আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে আন্দোলনরত শিার্থীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ শিার্থীকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
শুক্রবার বিকালে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিার্থীদের সঙ্গে এক বৈঠকে উপাচার্য তাদের এসব দাবি পূরণের কথা জানান। আবরার খুন হওয়ার পর তাৎণিক ব্যবস্থা নেওয়ার েেত্র কিছু ঘাটতি থাকার কথা স্বীকার করে অধ্যাপক সাইফুল হল ভর্তি শিার্থীদের সামনে বলেন, “আমার ঘাটতি ছিল। পিতৃতুল্য হিসেবে আমি তোমাদের কাছে মা চাইছি।”
ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরে আবরার নিহতের পর ‘দ্রæত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য’ সমালোচনার মধ্যে ছিলেন উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। গত মঙ্গলবারই তিনি শিার্থীদের দাবি নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শিার্থীরা সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যায়।
শুক্রবার দাবি পূরণের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “তোমাদের ১০টা দাবি আমি হাতে পেয়েছি। তোমরা আমার সন্তানের সমান। সন্তানের মত মনে করি। সিসিটিভি থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে আমরা সরকারের উঁচু পর্যায়ে যোগাযোগ করেছি এ ব্যাপারে।
“তোমাদের দাবিরে প্রেেিত মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হল। পাশাপাশি বুয়েটের সকল রাজনৈতিক সংগঠন ও এদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হল।”
শিার্থীদের সবগুলো দাবিই মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য বলেন, “আবরারের পরিবারকে তিপূরণ দেওয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রæত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র্যাগিং বন্ধ হবে।”
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় কানায় কানায় পূর্ণ বুয়েট অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক শুরু হয়। শুরুতেই আবরারের জন্য পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সাইদুর রহমানের পরিচালনায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সভামঞ্চে ছিলেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান, শিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ এবং কয়েকজন ডিন।