বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তা সহ একদিনে সর্বোচ্চ ৫৭জন করোনায় আক্রান্ত
মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু: বগুড়ায় করোনা আক্রান্তের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে মঙ্গলবার। পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা এবং এক আইনজীবী সহ মোট ৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সকলেই পুরুষ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ৬৩ দিনের মথায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের তথ্য জানালো স্বাস্থ্য বিভাগ।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন মঙ্গলবার রাত ৮ টায় বগুড়ার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির তথ্য জানিয়ে বলেন, এদিন মোট ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৪৭ জনের পজিটিভি আসে। আর বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় আরও ১৯টি নমুনা। সেখানে ১১ জনের পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে ১০জনের বাড়ি বগুড়া আর বাকি ১জন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট ৪৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।
মঙ্গলবার আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জনই পুলিশ সদস্য। তাদের একজন হলেন বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান। অন্য ১৪ জন বগুড়া সদর থানা ও ফুলবাড়ি ফাঁড়িতে কর্মরত। তাদের মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর, ৩ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৪ জন সহকারি সাব ইন্সপেক্টর এবং ৬ জন কনস্টেবল রয়েছেন। তাছাড়া এই প্রথম একজন আইনজীবীর দেহেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
বরাবরের মত উপজেলাওয়ারী আক্রান্তের মধ্যে বগুড়া সদরই শীর্ষে রয়েছে। আক্রান্ত ৫৭ জনের মধ্যে ৭৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৪৩ জনই বগুড়া সদর উপজেলার বাসিন্দা। তাদের বাড়ি শহরের চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, সুত্রাপুর, হাকিরমোড়, মালতিনগর, খান্দার ও সদর উপজেলার শাখারিয়া এলাকায়। এছাড়া শেরপুরের ৫ জন, গাবতলীর ৩ জন ও ধুনটের ২জন রয়েছেন। বাকি ৪জনের বাড়ি যথাক্রমে শাজাহানপুর, আদমদীঘি, সারিয়াকান্দি ও কাহালু উপজেলায়।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, মঙ্গলবার নতুন করে করোনা পজিটিভ ১২জন সুস্থ হয়েছেন। তারা জেলা সদরের বাইরের বিভিন্ন উপজেলার এলাকার বাসিন্দা এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একইভাবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত ২১জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, নতুন আক্রান্তদের অধিকাংশেরই কোন উপসর্গ নেই। তাই তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।