গোবিন্দগঞ্জে দুধ বিক্রি হচ্ছে পানির দামে!
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দুগ্ধ খামারীরা পানির চেয়ে কম দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাবের কারণে চুক্তিভিত্তিক ক্রেতা কোম্পানিগুলো দুধ না কেনায় প্রতি লিটার দুধ ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে পৌর বাজারে এই চিত্র দেখা যায়। ওই দিন বাজারে ক্রেতা না পেয়ে ক্ষোভে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানাচৌরাস্তায় অবিক্রিত প্রায় ৩০০ লিটার দুধ রাস্তায় ফেলে দেন খামারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় শতাধিক ছোট বড় দুগ্ধ খামার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। বাজারে ক্রেতা না থাকায় উৎপাদিত দুধের বেশির ভাগই অবিক্রিত থেকে যায়। পানির চেয়ে দুধের দাম কম হওয়ায় খামারীদের এখন মাথায় হাত।
পৌরশহরের খলসি এলাকার বাসিন্দা মো. সিদ্দীক বলেন, আমার ৬টি গাভী রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে দুটি গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লিটার দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালন করে তেমন একটা লাভজনক হয়ে উঠছেনা। অন্যদিকে বাজারে ক্রেতা না থাকায় দুধ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এতে করে অনেক লোকসান হচ্ছে।
অপর দিকে শিবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকার বাসিন্দা আপেল মাহমুদ বলেন, লেখাপড়া করে বাড়িতে বেকার বসেছিলাম। এরপর ১৪টি গাভী ক্রয় করে ছোট্ট পরিসরে একটি খামার দেই।
বর্তমানে ৫টি গাভী থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৫২ লিটার দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। বাজারে দাম কম এবং দুধ অবিক্রিত থাকায় অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে। উপজেলায় এমন অনেক খামারী রয়েছে যাদের আজ এমন দুরাবস্থা।
বাজারে আসা স্থানীয়রা বলাবলি করেন এক লিটার বোতলজাত পানি দাম ২০ টাকা। আর গোবিন্দগঞ্জে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এ যেন পানির দরে দুধের দাম।