বগুড়ায় জেলা আ:লীগের সংবাদ সম্মেলনে মজিবর রহমান মজনু উন্নয়নের নামে এমপি সিরাজের অপরাজনীতি নিছক নিজের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়
ষ্টাফ রির্পোটারঃ বগুড়া সদর-৬ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কর্তৃক বগুড়ার উন্নয়নের নামে অপরাজনীতির প্রতিবাদে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় শহরের টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গত ১ অক্টোবর বগুড়া সদর-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কর্তৃক বগুড়ার উন্নয়নের নামে অপরাজনীতি করছেন এমন অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি তার বক্তব্য বলেন, গত ১ অক্টোবর বগুড়া সদর-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বগুড়া প্রেসকাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বগুড়ার উন্নয়নের কথা বলার চেষ্টা করেছেন। একজন সাংসদ হিসেবে জনগণ তাকে কথা বলার জন্য সংসদে পাঠিয়েছে অথচ তিনি একজন সাধারণ মানুষ অথবা দেশের একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধির ন্যায় কথা বলার জন্য প্রেসকাবকে বেছে নিয়েছেন। এটা নিছক নিজের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন, যেখানে সংসদ হচ্ছে সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু সেখানে শুধুমাত্র ফটোসেশনের জন্য লোক দেখানো এরকম সাংবাদিক সম্মেলন আমাদেরকে হতবাক করেছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাড: মকবুল হোসেন মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা,সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল হক বুলবুল, সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৩ সালে এই সাংসদের বাসের ব্যবসা এসআর ট্রাভেলসের কারণেই তিনি বগুড়া পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের প্রস্তাবনার বিরোধীতা করেছিলেন।
সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ একজন সুচতুর ব্যক্তি না হলে শেরপুর-ধুনটে রাজনীতি করা একজন মানুষ কেমন করে বগুড়া সদরে বিএনপির মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগ সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমাদের প্রয়াত নেতা মরহুম মমতাজ উদ্দিন ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় এ সব দাবি আগেই উত্থাপন করেছিলেন। তার প্রেেিত উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। সাংসদ যেসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন তা চলমান। এ কারণেই তিনি আগেই সংবাদ সম্মেলন করে উন্নয়নের দাবিদার সাজার অপচেষ্টা করেছেন। কারণ তিনি খুব ভালো করেই জানেন আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে।
তিনি বলেছেন ২০০৬ সালের পর বগুড়ায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। তাহলে তাদের নেতার নামে শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাল ৫০০ শয্যা থেকে ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল এবং কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ, আইসিইউ বিভাগ সম্প্রসারণ এবং মেডিকেল কলেজে ১২ টি নতুন বিভাগ হলো কিভাবে? জিয়াউর রহমান হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল পর্যন্ত সংযোগ সড়কের কাজ অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং অবশিষ্টাংশ চলমান রয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত রেল সংযোগ জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটি (একনেকে) পাশ হয়েছে।
অথচ ১৯৯৩ সালে এই সাংসদের বাসের ব্যবসা এসআর ট্রাভেলসের কারণেই তিনি বগুড়া পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের প্রস্তাবনার বিরোধীতা করেছিলেন। বগুড়া জজকোর্টে ১০ তলা বিশিষ্ট সুবিশাল অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যা ১৮ তলা করার প্রস্তাবনা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ২য় বাইপাস সড়ক নির্মাণ সরকারের উন্নয়নের অনন্য উদাহরণ। বগুড়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে বগুড়া শিল্পনগরী হিসেবে আরো সমৃদ্ধ হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।