শেরপুরে ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহন আইনে জমির মূল্য নির্ধারন করে ক্ষতিপূরণের দাবি
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরে ১০৯ নং জেএল ভুক্ত শেরপুর মৌজার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন জমির মালিকগন ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারনের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শেরপুর মৌজার ১১৩ জন ভূমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেছেন এবং আবেদনের অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বরাবর প্রেরণ করেছেন।
লিখিত আবেদনে বলা হয় আমরা ১০৯ নং জেএল ভুক্ত শেরপুর মৌজার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন জমির মালিকগন সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক মহাসড়ক প্রশস্থকরণ প্রকল্পধীন “সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ২ , হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নিত করনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহনের জন্য বগুড়ার ভূমি অধিগ্রহন শাখা হতে পত্র প্রাপ্ত হই। আমরা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের এল এ শাখা সূত্রে জানতে পারি যে জমির শ্রেনীকরণ বিগত ১৯৬২ সালের এম আর আর রেকর্ড মূলে জমির শ্রেনী করনের ভিত্তিতে মূল্য পরিশোধ করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে জমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে ২০১৭ সালের অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী এবং অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। শেরপুর মৌজায় বর্তমানে অনেক মিল-কারখানা,আবাসিক ভবন,বানিজ্যিক ভবন সহ নানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা বর্তমানে আর এস জড়িপেও উল্লেখ রয়েছে এবং ভূমি উন্নয়ন কর ও পৌরকর বানিজ্যিক হিসাবে বহু বছর পূর্ব হতে প্রদান করা হচ্ছে যা সরেজমিনে যৌথ তদন্ত দল কর্তৃক সার্ভে করা হয়েছে। এমতাবস্তায় ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারন করে ক্ষতিপূরণের অর্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগন পেতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদনে দাবি করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি আলহাজ্ব মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু, শেরপুর বাসট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম হিরু,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল কাদের,আলহাজ্ব সারওয়ার রহমান মিন্টু ও অরুপ কুমার কুন্ডু সহ ২০/২২ জন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন প্রায় ৩৫/৪০ বছর যাবৎ ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন শেরপুর মৌজার জমির মালিকগন দোকানপাঠ সহ বানিজ্যিক ভবন মিল-কারখানা তৈরী করে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে। বর্তমানে আর এস জড়িপেও দোকান অথবা বানিজ্যিক ভবন উল্লেখ রয়েছে এবং ভূমি উন্নয়ন কর ও পৌরকর বানিজ্যিক হিসাবে প্রদান করা হচ্ছে। এমতাবস্তায় ১৯৬২ সালের এম আর আর রেকর্ড মূলে জমির শ্রেনী করনের ভিত্তিতে মূল্য পরিশোধ করা হলে বানিজ্যিক শ্রেনীর জমির মালিকগন বিপুল পরিমান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। শেরপুর মৌজার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন জমির মালিকগন ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী জমির বর্তমান শ্রেনী নির্ধারন করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু ও শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন পত্রে সুপারিশ করেছেন। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.লিয়াকত আলী সেখ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগন ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন এতে জমির মালিকদের কোন ক্ষতি হবেনা।