শিবগঞ্জে সরকারি পুকুর নিয়ে দুু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জে সরকারি ইজারা নেওয়া এক পুুকুর নিয়ে দুু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একাধিকবার বৈঠক করেও সমাধান না হওয়ায় বর্তমানে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুুড়া মৌজার ৯৫৮/৬১৭নং দাগের ২ দশমিক ১৭ একর সরকারি পুকুর লিজ নেয় আধগালা পাড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। লিজ নেওয়ার পর সমিতির অর্থনৈতিক সমস্যারর কারণে তারা পুকুরটি সাবলিজ প্রদান করে। এর মধ্যে সমিতির মধ্যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সমিতির সভাপতি লজাবত ফকির একই এলাকার মশিউর রহমান রুবেলকে পুকুরটি লিজ দেয়। সভাপতির পক্ষে সমিতির ২০ সদস্যর মধ্যে ১৫ জন সদস্য তাতে স্বাক্ষর করেন। অপরদিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম পলাশ নামের অন্য এক ব্যক্তিকে লিজ দেন। তার পক্ষে চার সদস্য স্বাক্ষর করেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে উভয়পক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের লিজ গ্রহণকারী একবছর মাছ চাষ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ি তারা একবছর মাছ চাষ করে। চলতি মাসে তাদের একবছর শেষ হলে দেখা দেয় নতুন বিরোধ।
এসময় পুকুরে সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি লজাবত ফকির পুকুরে পোনা মাছ অবমুুক্ত করেন। এদিকে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধের সুুযোগে আব্দুল গোফ্্ফার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মসজিদের নাম করে শতাধিক লোকজন নিয়ে ওই পুকুরে নতুন করে পোনা মাছ অবমুুক্ত করেন। এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার বৈঠক করেও কোন সুরাহা হয়নি। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
এ ব্যাপােোর সমিতির সভাপতি লজাবত ফকির বলেন, ‘আমরা বৈধভাবে পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষের জন্য পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করি। কিন্তু স্থানীয় আব্দুল গোফ্ফার মসজিদের নাম করে পুকুরে মাছ ছেড়েছেন। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসাার চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের লোকজন তা না মেনে জোড়পূর্বক পুকুর দখল করতে চায়।’ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক কালামসহ অন্যান্য সদস্যের মতামত নিয়েই পুকুরে মাছ ছাড়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তারা কেউ ওই মীমাংসায় রাজি হয়নি।