শিবগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থা লাঘবে নিজ অর্থায়নে সংস্কার করলেন মেয়র
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার পোস্ট অফিস থেকে নাগর বন্দর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় পথচারীদের চমর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় মহাস্থান টু আমতলী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কটি সড়ক ও জনপদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কটির প্রায় ৮ কিলোমিটার কয়েকটি প্যাকেজে সংস্কার করা হয়েছে। মাত্র কিছু অংশ সড়ক সংস্কার না করায় এই জন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদেরকে। শিবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে সড়ক ও জনপদের এই রাস্তাটি হওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন সংস্কার করা সম্ভব হয় না। সাধারণ পথচারীরা ভাবে সড়কটি শিবগঞ্জ পৌরসভার আওতা ভুক্ত। জন বান্ধব মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক শিবগঞ্জ পৌরসভার গত ঈদ উল ফিতর এর আগেই পৌর সভার বিভিন্ন এলাকার ৯টি সড়ক সংস্কার ও নতুন ভাবে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন করেছেন। এই কারণেই এলাকার সাধারণ পথচারীরা ভাবে মেয়র এতো সড়কের কাজ করার পরেও কেন এই সামাস্য ১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ করেন না। পোস্ট অফিস হতে নাগর বন্দর পর্যন্ত এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় জন সাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গতকাল ৭ই জুন রবিবার নিজ উদ্যোগে এবং নিজ খরচে সড়কটি খানা খন্দেকে ভরা অংশগুলি সংস্কার করেছেন। এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা মেয়রের নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। কথায় আছে খায় দায় চিকুন আলী মোটা হয় জোব্বার। এই সড়কটি কয়েক বার সড়ক ও জনপদ ঠিকাদারের মাধ্যমে মেরামত করে অনেক অর্থ ব্যয় করেছে যার সিংহ ভাগই গেছে জোব্বারদের পকেটে। ইতিমধ্যে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান শিবগঞ্জ পৌরসভার আওতায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অর্জুনপুর সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। এছাড়াও মেয়র শিবগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্রে দৃষ্টি নন্দন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, কেন্দ্রীয় ঈদ গাহ মাঠের সীমানা প্রাচীর করে জনগণকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কাজ করার যোগ্যতা ও সততা ইচ্ছা কোন কিছুরই কমতি নেই। তাই তিনি মহাস্থান টু আমতলী সড়কের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার অংশ টুকু মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এর কাছে আকুল আবেদন করেছিলেন এই অংশের সড়কটি পৌর সভার আওতায় দেওয়া হোক। তাহলে যে কোন সময় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হলে অতি দ্রুত সংস্কার করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না। তাই এলাকাবাসী সড়কটি শিবগঞ্জ পৌরসভার আওতা ভুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস এই সড়কটি পৌর সভার আওতায় দিলে তাদের আর দুর্ভোগ থাকবে না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।