সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ
শেরপুর ডেস্ক: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর সাতটি ধারা সাতদিনের মধ্যে বাতিল করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদপে না নিলে উচ্চ আদালতে আইনগত পদপে নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পীকার, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাঠানোর পর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর অফিসিয়াল গেজেটে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ প্রকাশিত হয়। এই আইনটি পহেলা অক্টোবর থেকে কার্যকর দেখাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই আইনের ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯(১,২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) এবং ৫৫ নম্বর ধারার মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটানো হয়েছে। দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তাবলীর ব্যপ্তয় ঘটিয়ে এটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন এই আইনটির ৫(২) নম্বর ধারায় সরকারি কর্মচারিদের কাজের শর্তাবলী তারতম্যের বিধান করা হয়েছে। ২৪(১) এবং ৪২(১,২) নম্বর ধারায় আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। ৩৯ নম্বর ধারার মাধ্যমে ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ মতা দেওয়া হয়েছে। ৫১(১) ধারায় দন্ডপ্রাপ্ত/অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। উপরন্ত ৩৫ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদপে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, এসব বিধানাবলী সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের সংগে সাংঘর্ষিক।