সীমাবাড়ীতে রাস্তায় অবৈধভাবে মাটি স্তুপ করে বিক্রি: দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
সীমাবাড়ী(বগুড়া) গোলাম রাব্বী আকন্দ: বগুড়া শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নে ঘাসুড়িয়া গ্রামে রাস্তার পাশে মাটির স্তুপ করে বিক্রি করছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ী একটি মহল। মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করার ফলে কাঁচা পাকা দুই কিলোমিটার রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চলাচলের রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হাওয়ায় দুর্ভোগে পরেছে এলাকাটির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কেজি স্কুল শিক্ষার্থী, সবজি চাষীসহ হাজারো মানুষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাটিতে রাস্তার পাশে মাটির স্তুপ করে বিক্রি করে আসছে এলাকার মৃত ইসহাক আলী আকন্দ ছেলে রাশেদ আকন্দ (৩৫) নামের এক অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ইঞ্জিন চালিত যানবাহন মাটি ক্রয় করতে আসছে এই রাস্তা দিয়ে। মাটি বোঝাই যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাটির দুই কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ,গর্ত হয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারংবার মাটির স্তুপ অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হলেও মাটি বিক্রেতারা সেটি সরাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী অসাধু মাটি ব্যবসায়ী দের মাটির স্তূপ সরিয়ে নিতে বললে তাদের সাথে মারমুখী আচরণ করে। এলাকাটিতে একটি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কেজি স্কুল এবং একটি মাদ্রাসা রয়েছে। পড়ালেখা করা কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যেতে রাস্তাটি খারাপ থাকার কারণে অনেক সময় কাঁদায় পড়ে পোশাক নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ঠিক মতো স্কুলে যেতে পারিনা।ধুলোতে শ্বাসকষ্ট হয় আমাদের। আমরা এর প্রতিকার চাই। মাটি বহনকারী গাড়ি চলাচলে ধুলোবালিতে এলাকার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ কৃষি সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আশেপাশের বাজারে সবজির চাহিদা পূরণ করে আসছে এই এলাকার সাধারণ মানুষ। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হাওয়ায় ঠিক মতো সবজি বাজারজাত করতে পারছে না বলে জানান সবজি চাষীরা। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
এবিষয়ে শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসার জামশে আলম রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মৌখিক ভাবে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।