শেরপুরে যুবক আহাদের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জনঃ হত্যা না আত্মহত্যা?
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পারভবানীপুর গ্রামের মৃত নস্কর মোল্লার ছেলে আব্দুল আহাদ ( ২৪) এর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলাবলি করছেন এটা কি আসলে আত্মহত্যা না তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর গ্রামের লাবলু মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গোলাপী খাতুন ছোট মেয়ে লাজলী খাতুনকে নিয়ে তার পিতার বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল। মাথার উপরে কোন ছাতা না থাকায় লাজলীর নানা দুলু, বুলু ও পরিবারের সদস্যরা তাকে লালন পালন করে উপজেলার পারভবানীপুর গ্রামের মৃত নস্কর মোল্ল¬ার ছেলে আব্দুল আহাদ এর সাথে প্রায় ১০ মাস পূর্বে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। লাজলী খাতুন স্বামীর সাথে ঝগড়া করে প্রায় দেড়মাস আগে ঝাঁজর গ্রামে তার নানার বাড়ীতে চলে আসে। এ নিয়ে গত ৫ জুন শুক্রবার পারভবানীপুর গ্রামে ছেলে আব্দুল আহাদের বাড়িতে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোশ মিমাংসা জন্য বৈঠক হয় বলে লাজলীর নানার পরিবার জানিয়েছেন।
এদিকে স্ত্রী লাজলী খাতুনের ফোন পেয়ে আব্দুল আহাদ ঐদিন বিকালে ঝাঁজর গ্রামে তার নানা শ^শুড়বাড়ীতে যায়। আহাদের পরিবারের লোকজন দাবী করেন সেখানে তার স্ত্রী সহ নানা শ^শুড়ের পরিবারের সদস্যরা আব্দুল আহাদকে বেদমভাবে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে তার মা-ভাইকে বিষয়টি না জানিয়ে তাকে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহাদের পরিবারের লোকজন ঘটনাটি জানার পর তার চিকিৎসার ব্যবস্থানেয়। এদিকে চিকিৎসাধীন আব্দুল আহাদ কিছুটা সুস্থ্য হলে গত ৭ জুন রবিবার বিকালে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ছাড়পত্র দিলে সে নিজবাড়ী পারভবানীপুর গ্রামে ফিরে আসে। পরদিন (৮জুন) সোমবার দুপুরে আব্দুল আহাদ আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায় বলে তার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় শেরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক (ফজলু) ঐদিন বিকালেই আহাদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুয়ামুন কবির বলেন, এই ঘটনায় গত ৮ জুন শেরপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে মৃত আহাদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।