ধুনটে সড়কের বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগের শেষ নেই
এম.এ রাশেদঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ী বাবু বাজার থেকে বুুড়িভিটা ও কাতলাহার বাজার সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকার কাচা সড়কে যানবাহন ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন যাত্রীবাহী ইজিবাইক দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হচ্ছে যাত্রীরা। সড়কের পাশের ডোবাতে পড়ে গিয়েও আহত হয়েছে অনেকেই। রাত শেষে সকালের সামান্য কুয়াশার পনিতে ভিজে সড়কে যে পরিমান পিচ্ছিলতা দেখা যায় তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে হরহামেশায়। ওসব এলাকার শিার্থীরা অনেকটা কষ্ট করেই স্কুলে যাতায়াত করছে। এ এলাকায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কেজি স্কুল, ১টি আলিয়া মাদ্রাসা, ১টি ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। ওই গ্রামের অনেক শিার্থী সহ জনসাধারণ কাঁদা পানি ও ভাঙ্গা খরা-খন্দক উপো করে প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে।
ছালেক নামের এক পথচারী জানায়, সারা বাংলার মানুষ ডিজিটাল স্বপ্নে ছোঁয়া পাবে আমরা কেন পাবো না। আমরাও চাই আমাদের এলাকার সড়ক গুলো সংস্কার করা হোক।
পথচারী আলমগীর হোসেন জানায়, সড়কে বেহাল অবস্থার কারনে আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। কখনো দুর্ঘটনায় পড়ে কাঁদা মাখা শরীরে বাড়িতে আসে। দিনের বেলা চলাচল করতে যে পরিমান কষ্ট হয় তাতে রাতের বেলা এই সড়ক গুলোতে চলাচল করা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর এই সড়ক গুলোতে কোন যানবাহন চলাচল করেনা। সড়কের কারনে যানবাহন কম থাকায় পায়ে হেটে শিার্থীরা স্কুলে যায়।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনছার আলী জানান, আশেপাশের এলাকার সড়কের যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তার তুলনায় এ এলাকা সড়ক গুলোর উন্নয়নে তেমন কিছুই হয়নি।
নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকার জানান, বাবু বাজার থেকে বুড়িভিটা ও কাতলাহার বাজার পর্যন্ত সড়কের সংস্কারের জন্য স্কিম দেয়া আছে। তা কবে কার্যকর হবে তা আমার জানা নেই। তবে দ্রæতই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী।