ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বাবার আকুতি
শেরপুর ডেস্ক: বগুড়া জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম মোরশেদ। টবগবে দুরন্তপনা মেধাবী কিশোর। কেউ জানতে না এই ছেলেটি দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারের জীবানু বয়ে বেড়াচ্ছে। দিনে দিনে কুড়ে খাচ্ছে তার দেহ। গত এক বছর আগে ধরা পড়ে তার এই ব্যাধি। মাঝে মাঝে জ¦র ও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিশেষঞ্জ চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে একাধিক পরীা-নিরিার পর ধরা পড়ে তার এই রোগ। চিকিৎসকরা জানান তার বনমেরু ক্যান্সার হয়েছে। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে ভারতের ভেলোরেও চিকিৎসা করা হয়। দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসার পর সে সুস্থ্য হয়ে ওঠে। তার চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ৩৫ লাখ টাকা। সে সুস্থ্য হয়ে ওঠলে গত ছয় মাস আগে আবারও সে একই রোগে আক্রান্ত হয়। এখন সে সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন আছে। সেখানকার চিকিৎসকরা বলছে ফাহিমকে বাঁচাতে হলে তার বনমেরু ট্রান্সফার করতে হবে। এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
ফাহিম মোরশেদ বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীা দেয়ার কথা। স্কুলের সহপাঠিরা তাকে গত বছর তাকে নিজেদেরও মধ্যে থেকে এক লাখ টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছিল। তার সহপাঠিরা সমাজের বিত্তবানদের নিকট ও সরকার প্রধানের নিকট চিকিৎসা সহায়তার আহবান জানিয়েছে।
ফাহিমের বাবা হাবিবুর রহমান একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। মা কামরুন নাহার বেগম একজন গৃহিনী। বাড়ী শহরের বুজরুক বাড়ীয়া কৈগাড়ী এলাকায়। ফাহিমের বাবা জানান, তার ৪ সন্তানের মধ্যে ফাহিম সবার ছোট। ফাহিমের চিকিৎসার জন্য যা কিছু সহায় সম্ভল ছিল সব কিছুই শেষ করেছেন। সংসার চলছে বড় ছেলের চাকরির উপর নির্ভর করে। ফাহিমকে বাঁচাতে যে অর্থের প্রয়োজন তা জোগার করা সম্ভব হয়ে ওঠছেনা। তিনিও প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন। ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নম্বর ০১৭২৫ ৮২৪২৭৫(বড় ভাই)।