বগুড়ায় ঘুষের টাকা সহ দুদকের হাতে তহসীলদার গ্রেফতার
বগুড়া প্রতিনিধি; বগুড়ার গাবতলীতে ঘুষের টাকা সহ স্থানীয় নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে তাকে ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে,কয়েকদিন আগে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের জয়ভোগা গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান মানিক পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৩ শতক আবাদী জমির খাজনা দেয়ার জন্য নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান হিসাব-নিকাশ করে মানিককে জানান, ১৩ শতক জমির খাজনা বাবদ ১৪৩ টাকা দিতে হবে। কিন্তু এই ১৪৩ টাকার সঙ্গে আরও ১৩ হাজার ঘুষ দিতে হবে। মানিক তখন নিরুপায় হয়ে গত ১৪ অক্টোবর ১০৬ নম্বরে কল করে বিষয়টি দুদককে জানান। ওই দিনেই বগুড়ার দুদক কর্মকর্তারা মানিককে অফিসে ডেকে নিয়ে বিস্তারিত শোনেন। এরপর ভুমি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে ধরতে ফাঁদ পাতেন দুদক কর্মকর্তারা। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মানিক রবিবার দুপুরে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে ঘুষের ১৩ হাজার টাকা ও খাজনা বাবদ ১৪৩ টাকা দেন। আব্দুল হান্নান তখন ১৩ হাজার টাকা নিজের পকেটে রেখে শুধুমাত্র ১৪৩ টাকার একটি রশিদ মানিকের হাতে ধরিয়ে দেন। এদিকে দুদকের কর্মকর্তা অফিসের বাইরে ওতপেতে ছিলেন। এর পরপরই দুদক কর্মকর্তারা নাড়–য়ামালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে ঘুষের ১৩ হাজার টাকা সহ আব্দুল হান্নানকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। সে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বগুড়া শহরের বৌ বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। দুদকের এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম, ওয়াহিদ মুঞ্জুর সোহাগ ও সুদীপ কুমার চৌধুরী। দুদকের উপ পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, মতিউর রহমান মানিকের অভিযোগের পরিপ্রেেিত ফাঁদ পেতে ভুমি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে ঘুষের টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে।