জেলার খবর

ধুনটে বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব

Spread the love

এম.এ রাশেদঃ বগুড়ার ধুনটে বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে বালু ব্যবসায়ীরা। কোন ভাবেই বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বথুয়াবাড়ী বাঙ্গালী নদীর ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে ডেজার মেশিন দিয়ে ২টি পয়েন্টে ও ব্রীজের দনি পাশ্বে পেঁচিবাড়ী বাজার পর্যন্ত ৩টি পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনকারীরা হলেন, বালু ব্যবসায়ী উপজেলার জালশুকা গ্রামের ছাকিমের ছেলে হাসানুল করিম পুটু, বথুয়াবাড়ী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে গোলজার হোসেন ও চৌবাড়ীয়া গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে রঞ্জু মিয়া। বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে নদীর ২ তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর ভাঙ্গনের ফলে নদীর তীরের ২ পার্শ্বে শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীর বুকে বিলিন হয়েছে। ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে কৃষকেরা আর হাতিয়ে নিচ্ছে বালু ব্যবসায়ীরা ল ল টাকা। মতার দাপটে তারা যৌথভাবে বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে তারা ভয়ভীতি ও হুমকির শিকার হয়। তাই তারা নিরব ভূমিকায় আছেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি জানান, আমরা বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, হুমকি ও মামলার ভয় দেখায়। বালু উত্তোলনকারীরা আমাদের বলে উপর মহলের সাথে কথা বলে বালু উত্তোলন করছি। এখানে কোন সাংবাদিকও ফিরে তাকায় না। এখানে কারও বাধা দেওয়ার মতা নেই। বাঙ্গালী নদী থেকে ডেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে আমাদের শতাধিক বিঘা জমি নদীর গর্ভে চলে গেছে। প্রশাসনকে জানিয়েও আমাদের কোন কাজ হয় নাই। আর এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীর দুই তীরের আরো শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, বথুয়াবাড়ী থেকে পেঁচিবাড়ী এলাকা পর্যন্ত বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close