বগুড়ায় সেই তুফান সরকার ও তার সহযোগীদের বিচার শুরু
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় কিশোরী ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও তার সহযোগীদের বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিক ১২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।এই মামলায় ২০২০ সালের ১০ মার্চ স্যা গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। তবে চার্জ গঠনের ওপর শুনানিকালে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না থাকায় তুফান সরকারের শ্বশুর জামিলুর রহমান রনুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন- তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, তুফানের শাশুড়ি রুমি, সহযোগী আতিক, মুন্না, দিপু, রূপম, জিতু, শিমুল, মাথা ন্যাড়া করিয়ে দেওয়া নাপিত জীবন রবি দাস ও কাউন্সিলর রুমকির বাড়ির গৃহপরিচারিক আঞ্জুয়ারা বেগম।
ভালো কলেজে ভর্তির কথা বলে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই বগুড়ায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার তৎকালীন আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি জানার ১০দিন পর ২৭ জুলাই তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরতি মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের চকসুত্রাপুর এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বাড়িতে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়। ওই ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তুফান সরকারকে তার ৩ সহযোগী সহ গ্রেফতার করে। মামলায় তুফানের স্ত্রী আশা সহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়।
অতিরিক্তি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আসলাম আগুর জানান, তুফান সরকার ও তার স্ত্রী সহ ১৩ আসামির মধ্যে জামিলুর রহমান রনু নামে একজনের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যে ১২ আসামির বিচার শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে তুফান সহ দুইজন কারাগারে রয়েছেন। অপর ১০ আসামির মধ্যে একজন পলাতক এবং বাকিরা জামিনে রয়েছেন।