মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা দিল পিকেএসএফ
শেরপুর ডেস্ক: কৃষকদের কল্যাণ ও দারিদ্র্য নিরসন এবং কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মাননা স্মারক মতিয়া চৌধুরীর হাতে তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে একটি সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। মতিয়া চৌধুরী তার প্রাপ্ত আজীবন সম্মাননা মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনকে উৎসর্গ করেন। এছাড়া প্রাপ্ত ৫০ হাজার টাকা নালিতাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২৫ হাজার টাকা এবং নকলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২৫ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দারিদ্র্যবিমোচন, টেকসই উন্নয়ন ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য বেগম মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করতে পেরে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) গর্বিত। সম্মাননা স্মারকে বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গে বলা হয়, তিনি ১৯৪২ সালের ৩০ জুন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নিজেকে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৬২ সালে শিা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৭ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান সহ সকল প্রগতিশীল ও ছাত্র অধিকার আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদান করে তিনি ‘অগ্নিকন্যা’ খেতাবে ভূষিত হন। তিনি ১৯৬৪-৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে নিরলসভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ করে তিনি প্রতিবাদকর্মী হিসেবে এতদসংশ্লিষ্ট কর্মসূচী ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৫ বার কারাবরণ করেন।