জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ
শেরপুর ডেস্ক: বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
একুশে পদক, স্বধীনতা পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার-জাতীয় পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত। বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদকের েেত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আগে স্বর্ণের পদকের সঙ্গে তিন লাখ টাকা দেওয়া হতো। আগামী বছর থেকে দেওয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া এ পদকে আগের মতোই থাকছে আঠার ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।
বেগম রোকেয়া পদকের েেত্র অর্থ ছিল দুই লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে চার লাখ টাকা। একুশে পদকের েেত্র আঠার ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে দুই লাখ টাকা দেওয়া হতো। অর্থের পরিমাণ দুই লাখ বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের েেত্র আগে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। এখন দেওয়া হবে এক লাখ টাকা করে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন’ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এ পুরস্কার দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের েেত্র আঠার ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। একই সঙ্গে থাকে অর্থ, যার পরিমান দ্বিগুণ করা হয়েছে।
সংশোধিত নির্দেশাবলী অনুযায়ী, এখন থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের েেত্র আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তিন লাখ টাকা পাবেন। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। অন্যান্য েেত্র এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ মে জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী সংশোধন করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। আর এবার প্রায় দু’বছর পর বাড়ানো হলো জাতীয় পুরস্কার/পদকগুলো অর্থের পরিমাণ।