জমির আইল উঠিয়ে দিয়ে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, জমির আইল উঠিয়ে দিয়ে সমবায় ভিত্তিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে চাষাবাদে সাশ্রয়ী খরচে উন্নত মানের ফলন পাওয়া সম্ভব। যা বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর পাইলট প্রকল্পে গবেষণার মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে সমবায়ের ভিত্তিতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চাষাবাদ বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে এই প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার চকপাথালিয়া গ্রামে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর ‘কৃষি জমির আইল উঠিয়ে দিয়ে সমবায় ভিত্তিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি, বগুড়া-৫ আসনের এমপি আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, কৃষক প্রতিনিধি আলহাজ্ব আবুল কাশেম ও বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই গবেষণা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল কৃষি জমির আইল উঠিয়ে দিয়ে অব্যবহৃত উর্বরজমিকে কৃষি খাতের আওতায় নিয়ে আসা; সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন খাতে (যেমন- শ্রম, সেচ, বীজ, সার, কীটনাশক) ব্যয় কমিয়ে আনা; সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে অবশিষ্ট জনশক্তিকে প্রশিণপূর্বক অকৃষিখাতেনুতন কর্ম-সংস্থান সৃষ্টিকরা; বিভিন্ন ধরণের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি (যেমন- দ্বি-স্তরবিশিষ্ট কৃষি, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও কৃষিযান্ত্রিকীকরণ) হস্তান্ত—রের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনবৃদ্ধি করা, কৃষি দল ভিত্তিক উৎপাদনসহ আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরা।