বগুড়ার ধুনটে সাব-রেজিষ্টার অফিসে জাল দলিল সম্পাদনের অভিযোগ
এম.এ. রাশেদ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনটে সাব- রেজিষ্টার অফিসে জাল দলিল সম্প্দানের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার থেউকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে জিন্নাহ সেখ বাদি হয়ে ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার জেলা বগুড়ার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌকিবাড়ী মৌজার সাবেক দাগ ২৬১৪ ও হাল দাগ ৪৭১৩ নং দাগের .০৯ শতাংশ জমির মালিক মৃত রঘুনাথ সাহার ছেলে শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা। পরেশ চন্দ্র সাহা ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করার সুযোগে এক দলবদ্ধ প্রতারক, জালিয়াত ও জাল দলিল সৃষ্টিকারী লোকগন পরস্পর যোগসাজসে .০৯ শতাংশ জমি বে-আইনী ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গত বছর ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার তারিখে ধুনট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস চলাকালীন চলাকালীন সময়ে পরেশ চন্দ্রের বড় ভাই মনোরঞ্জন সাহা পরেশ চন্দ্র সাজিয়া স্বাক্ষর জালিয়াতি ও তার নিজ ছবি যুক্ত করিয়া শেরপুর থানার আয়রা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে দলিল লেখক রাসেদ খাঁনের দ্বারা একখানা জাল দলিল লিখিয়া নেয়। পরে জাল দলিলটি মৃত পাওমোছা সেখের ছেলে গোলাম রব্বানী, গোলাম রব্বানীর স্ত্রী আমেনা খাতুন ও গোলাম রব্বানীর ছেলে রুবেলকে জমি দলিল করতঃ ধুনট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া গোপন রাখে যার জাল দলিল নং ৪৪৮।
সম্পত্তির মালিক ভারত থেকে ফিরিয়া আসার পর টাকার প্রয়োজনে ওই .০৯ শতাংশ জমি গত ৪ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার থেউকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে জিন্নাহ সেখ ও খোরশেদ আলীর কাছে বিক্রি করে যার রেজিস্ট্রি কবলা দলিল নং ৩৭৫১। পরে তাদের কে জমি হস্তান্তর করিয়া কয়েক দিন পর আবারও ভারত চলেযায় পরেশ চন্দ্র সাহা।
জমি হস্তান্তরের পর জিন্নাহ সেখ ও তার ভাই খোরশেদ আলী কবলা দলিলমূলে প্রাপ্ত ওই .০৯ শতাংশ জমিতে ফসলাদি আবাদ করিয়া আসছিলো। হঠাৎ করিয়া পুর্বের জাল দলিলে প্রাপ্ত সম্পত্তির মালিক গোলাম রব্বানীসহ কয়েকজন জিন্নাহ সেখের বাড়িতে আসে। তারা জিন্নাহ সেখকে জানায় ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার পরেশ চন্দ্রের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে নিয়েছে মর্মে একটি ৪৪৮ নং দলিলের ফটোকপি দেখিয়ে জমির দাবি করে। গত ১৫ আগষ্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার জিন্নাহ সেখ বিষয়টি নিয়ে ধুনট পৌরসভায় একটি শালিশী বৈঠক ডাকে। ওই বৈঠকে একই মৌজার একই দাগের .০৯ শতাংশ জমির পুর্বের ৪৪৮ নং দলিল জালিয়াতি করে সম্পাদন করা হয়েছে মর্মে ভ‚ল স্বীকার করে। এবং জিন্নাহ সেখ ও তার ভাই খোরশেদ আলীর সাথে আপোষ মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়ে গোলাম রব্বানীসহ কয়েকজন নানা ভাবে তালবাহানা করতে থাকে।
জিন্নাহ সেখ জানান, জাল দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে জমির দাবিদারদের নানা ধরনের অন্যায় ও তালবাহানা করা কালীন সময়ে আমার ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি হয়েছে। নানা ভাবে হয়রানী হবার পর আমি ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার জেলা বগুড়ার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৯ জনকে আসামী করে দন্ডবিধি ৪৬৭,৪৬৮ ও ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মোকাদ্দমা নং ২০৯সি/২০১৯ (ধুনট)। মামলাটি বগুড়া জেলা পুলিশ অব ইনভেস্টিগেশন কর্মকর্তা তদন্ত করছে।#