বগুড়ায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা
বগুড়া প্রতিনিধি: প্রকৃতিতে এসে গেছে শীতের আমেজ। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে শীতের আমেজ কিছুটা উকি মারলেও তার প্রভাব পরেছে কাহালু উপজেলার বাখরা গ্রামে, সকাল থেকে রস সংগ্রহে গাছীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যে খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করে গাছ নিয়েছে।এখন এসব মধুবৃ খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য সকাল থেকেই ব্যস্ত গাছিরা দা, ঠিলা ও দড়ি নিয়ে ছুটছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে। শীতকালে গ্রামবাংলায় নিয়ে আসে নানা রকমের সুস্বাদু খাবারের আমেজ। নানা রকমের খাবারের মধ্যে শীতের প্রধান সুমিষ্ট সুস্বাদু খেজুরের রস। সে রসে তৈরি পাটালি গুড় আর শীতের রকমারি পিঠাপুলি সবার মন ভরিয়ে দেয়। যদিও আগের মত শশ খেজুর গাছের সারি আর দেখা যায় না। এরপরও যে গাছগুলো আছে শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুররের রস আহরণে গাছিরা গাছে উঠে মাটির হাড়ি পেতে রাখে খেজুর গাছে। সন্ধ্যায় লাগানো হয় আর ভোরবেলায় গাছে উঠে সেই হাড়ি পাড়া হয়। সকালে দেখা যায় হাড়ি ভরে গেছে রসে।গাছের ডালপালা কেটে পরিস্কারসহ নিপুণ হাতে গাছের ছাল তোলা, চাঁছা ও নলি বসানোর কাজ করছে দিনভর।
গাছীরা এখন অধিকাংশ গাছই প্রায় কাটা হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার কাহালু উপজেলার বড় বাখরা গ্রামে রাজশহী জেলার বাগা থানার গাউপাড়া থেকে আসা গাছী খোসবার আলী (৬০) জানান, কার্তিক মাসে খেজুর গাছগুলোর মালিকদের সাথে চুক্তি করে গাছ কাটা শুরু করেছেন। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই গাছগুলো কাটা শেষ করে শুরু করছেন রস সংগ্রহ। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাষ এই তিন মাস খেজুরের গাছ থেকে রস অহরণ আর গুড় তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। গাছগুলো থেকে আহরণকৃত কিছু রস বাজারে বিক্রিসহ বেশির ভাগ রস দিয়ে শুধু পাটালি গুঢ় তৈরি করে পরে তা বাজারে বিক্রি করবেন। তিনি বলেন ১০০ টি গাছ চুক্তি করে নিয়েছেন, প্রতি দিন তিনি গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কেজি গুড় সংগ্রহ করবেন তিনি সাধারণ খেজুরের গুড় থেকে পাটালি তৈরি করেন। যার চাহিদা অনেক এবং বেশি দাম পাবেন বলে অসা করছেন। গাছী আজমল বলেন যতœ সহকারে কাটলে একটি খেজুর গাছ থেকে মৌসুমে প্রায় ১২ থেকে ১৬ কেজি গুড় উৎপাদন করা সম্ভব । পথচারি রফিকুল বলেন কালের বিবর্তনে এখন আর গামে সেই খেজুর গাছের সারী আগের মত চোখে পড়ে না। শীতের সকালে খেজুরের রস খওয়া ছিলো লোভলীয়। পাটালির সাধ অসাধারন আর এর চাহিদা এখনও রয়েছে।