বাঁশের বাঁশিই ভরসা প্রফুল্লের
শেরপুর ডেস্ক: প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। সংগীতজগতে রংপুরে একটি পরিচিত নাম। যেখানেই গান-বাজনা সেখানেই ডাক পড়ে প্রফুল্লের। সাদামাটা একজন নরম মনের মানুষ। তার বয়স এখন ষাটের কোটায়। দু সন্তানের জনক। বাড়ি রংপুর মহানগরের চব্বিশ হাজারী গ্রামে। লেখাপড়া পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। আগে বাড়ি ছিল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ল্মীটারী উপজেলার মহিপুর গ্রামে।
নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বর্তমানে এখানে বাস। সম্প্রতি কথা হয় তার সঙ্গে। কী জাদুর টানে আপনি বাঁশিওয়ালা হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফুল্ল জানান, বয়স যখন ৮/৯ বছর, সেই থেকে কলের গানে বাঁশির সুর তার কানে বাজত। খুব আকৃষ্ট করত তাকে। সেই ছোটবেলা থেকে বাড়ির বাঁশ কেটে আগুন দিয়ে ছিদ্র করে বাঁশি বানাতেন। আর একান্তে বসে বসে নদীর পাড়ে সুর তুলতেন। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। হাল ছাড়েন না প্রফুল্ল। এরই মাঝে দেখা হয় ছগির উদ্দিন বয়াতির সঙ্গে। তার প্রথম ওস্তাদ। ওস্তাদের কাছে তালিম নেন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাঁশিওয়ালা। শুরু হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজানো। আর থামতে হয়নি তাকে।তিনি এখন জেলা তথ্য অফিসের একজন নিয়মিত যন্ত্রী। বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন সংগীত অনুষ্ঠান কিংবা রেডিওতে দলীয় প্রোগ্রামে বাঁশি বাজান তিনি। বাঁশি এখন তার ভরসা, নিত্যদিনের সম্বল, জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। কমবেশি প্রতিদিনেই তার ডাক পড়ে। মানুষ খুশি হয়ে যা দেয় তাতেই সন্তোষ্ট থাকেন প্রফুল্ল।