দেশের খবর

হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা

Spread the love


শেরপুর ডেস্ক: কালের আবর্তে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির চুলা। এক সময় গ্রামের মানুষের রান্নাবান্নার মূল ভিত্তি ছিল এ চুলা।
জানা যায়, মাটির চুলা তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো জমির এঁটেল মাটি। প্রতিটি চুলায় সাধারণত একটি করে জ্বালানি প্রবেশের মুখ থাকে। যেসব চুলায় একটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেটিই একমুখো চুলা। যে চুলায় দুটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেগুলো দুমুখো চুলা। দুমুখো মাটির চুলা দিয়ে সাধারণত বাড়িতে ধান সিদ্ধ বা অনুষ্ঠানের খাবার রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তোলা চুলা বলে এক ধরনের চুলা আছে।
কামারখন্দ উপজেলা ঠাকুরজিপাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধা জরিনা বেওয়া বলেন, ‘পুরোনো মাটির আইশাল (চুলা) গুলা ২০-৩০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। আইশাল ঘরের (রান্নাঘর) আইশাল যত পুরান অয়, তার মইদে মাটি পুড়তে পুড়তে তত বেশি নাল হয়। পুরান আইশাল তাপ বেশি ছড়ায়। কিন্তু চুলা সংস্কারের জন্য মাঝে মধ্যে কাদামাটির পোচ দেয়া নাগে।’
মাটির চুলা ব্যবহারকারী চালা শাহবাজপুরে মাজেদা বেগম (৭৫) বলেন, ‘থোও তোমার নোয়ার আইশাল (গ্যাসের চুলা) এর চায়া মাটির আইশালি বালো।’ হানিফা বেওয়া (৬৮) বলেন, ‘চুলাগুলোর নাম ছিল দো-চুলা, কয়লা চুলা, পাশ কাটা চুলা, আলোক চুলা।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close