‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল আদালত অবমাননার শামিল’-অ্যাটর্নি জেনারেল
শেরপুর ডেস্ক: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হট্টগোল করে আদালতের ওপর অবৈধ চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। তাদের এ তৎপরতা আদালত অবমাননার শামিল। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সামনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান ও হট্টগোলের প্রেেিত এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল বিশেষভাবে তার স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে। তখন আপিল বিভাগ তার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপরে কাছে থেকে একটি স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট চেয়েছিলেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপ জানিয়েছে, যেহেতু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নানারকম পরীা-নিরীা হচ্ছে, তাই এর রিপোর্ট দিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। আদালত যখন এ বিষয়টি জানিয়ে আমাদের আবেদনের প্রেেিত আগামী বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করলেন, তখনই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে চরম হট্টগোল ও গণ্ডগোল শুরু করলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, তারা যে বিশৃঙ্খলার শুরু করেছেন, এটা নজিরবিহীন। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ন্যাক্কারজনক। জনসভায় যেমন হট্টগোল হয়, তেমন হট্টগোল আদালতে করেছে। আদালতের ওপর অবৈধ চাপ সৃষ্টির জন্য বাইরের আন্দোলনকে এজলাসের মধ্যে নিয়ে এসেছে। তাদের বিশৃঙ্খলার জন্য আদালত এক পর্যায়ে উঠে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এটা অতি ন্যক্কারজনক এবং যা আদালত অবমাননার অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানাই। এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানান এটর্নি জেনারেল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সুপ্রিমকোর্টে আগে কখনে দেখিনি। একজন ব্যক্তি বিচারের জন্য সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার পে তার আইনজীবীরা আবেদন করেছেন জামিনের জন্য। তাদের দরখাস্তের জন্যই সুপ্রিমকোর্ট মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিল। মেডিকেল রিপোর্ট না আসায় তারা আজকে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমিন উদ্দিন বলেন, এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রতি তাদের অনাস্থা প্রমাণ করল। তারা যে আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, সেটাই প্রমাণিত হলো। তারা আইন-আদালতকে মানে না।