স্থানীয় খবর

শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ এর বেহাল অবস্থা ভবনটি জরাজীর্ণ

Spread the love

‍‍‌‌”মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু”
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড বা বিটিসিএল বাংলাদেশের সরকারি টেলিফোন সংস্থা ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ কোম্পানী। অথচ শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ এর বেহাল অবস্থা,ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এক সময় শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ ছিল সরগরম। এর আওতায় প্রায় ৫ শতাধিক টেলিফোন গ্রাহক ছিল। বর্তমানে কমতে কমতে এখন ১৭৫ জন গ্রাহক রয়েছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন কম্পানীর মোবাইল সার্ভিল চালু হওয়ার পর থেকে শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।
জানাযায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) হিসেবে কোম্পানীটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১ জুলাই, ২০০৮ সালে বিটিটিবিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করা হয় এবং বিটিসিএল হিসেবে নামকরণ করা হয়। সম্প্রতি বিটিসিএল পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখন থেকে সারা দেশে বিটিসিএল এর ল্যান্ডফোন সংযোগ বিনামূল্যে দেয়া হবে। এই অফারটি পুন:সংযোগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এবং এই অফারটি চলবে মুজিব বর্ষ জুড়ে। মাত্র ১৫০ টাকায় সারা মাস বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল আনলিমিটেড কথা বলা যাবে। তবে অন্য অপারেটরে ৫২ পয়সা মিনিট কথা বলা যাবে।
শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে বুধবার সকাল ১১ টায় গিয়ে টেকনিক্যাল এসিষ্টেন্ট মিজানুর রহমানের সাথে দেখা হয়। তিনি জরাজীর্ণ এক্সচেঞ্জ ভবনটি ঘুরে ফিরে দেখান। ভবনের অনেক স্থানেই প্লাসতারা উঠে গেছে। আসবাবপত্র নেই বললেই চলে। যা আছে তাও আবার ভাংগাচোরা। তিনি বলেন শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে মাত্র ৪ জন ষ্টাফ রয়েছে। তার মধ্যে জুনিয়র ম্যানেজার আজিজার রহমান বগুড়া এক্সচেঞ্জে বসেই এখানকার কাজ তদারকি করেন। এছাড়া ২ জন কনিষ্ঠ লাইনম্যানের মধ্যে ফরিদ উদ্দিনের দেখা পাওয়া গেলেও মাসুদুর রহমানের দেখা পাওয়া যায়নি। টেকনিক্যাল এসিষ্টেন্ট মিজানুর রহমান বলেন ১৭৫ টি সংযোগের অধিকাংশই সরকারী দপ্তরের। তিনি শেরপুর ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ ভবনটি সংস্কারের জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close