স্থানীয় খবর

ওসি’র কথাও মানছেন না! বিশালপুরের হেলাল হাজী’র এতো খুঁটির জোর কোথায়?

Spread the love

ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বিরাকৈর গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলাল হাজীর বিরুদ্ধে তার বাড়ীর দিনমজুর একই গ্রামের মৃত নছের প্রাং এর ছেলে সোহরাফ আলী কাজের মজুরি সহ মোট ৫৪ হাজার ৬২০ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য শেরপুর থানায় লিখিত আভিযোগ করার প্রায় ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও তার কাজের মজুরি পায়নি।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায় দিনমজুর সোহরাফ আলী বিগত ৪ বছর যাবৎ হেলাল হাজীর বাড়ীতে দিনমজুর হিসাবে কাজ করত। বর্তমানে সোহরাফ আলী তার গেরস্থ হেলাল হাজীর নিকট কাজের মজুরি বাবদ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ধানের দাম বাবদ ৯ হাজার ১২০ টাকা সহ মোট ৫৪ হাজার ৬২০ পাওনা রয়েছে। পাওনা টাকা চাইলে আজ দিবে কাল দিবে বলে তালবাহানা করে। শেষে হেলাল হাজী টাকা দিতে অস্বীকার করলে হেলাল হাজীর বিরুদ্ধে দিনমজুর সোহরাফ আলী শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য থানার এস আই পুতুল মোহন্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি নিস্পতি করার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলামের নিকট তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পুতুল মোহন্ত বলেন যে দিনমজুর সোহরাফ আলী, হেলাল হাজীর নিকট ৪৩ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ সময় হেলাল হাজী পাওনা টাকা পরিষদের জন্য ১ দিনের সময় চাইলে তাকে ১ দিনের সময় দেয়া হয়। কিন্তু সময় মত টাকা না দিয়ে হেলাল হাজী টাকা দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
বিড়াকৈর গ্রামের ইউপি আব্দুস সালাম বলেন থানায় বসার আগেও এ ব্যাপারে গ্রামে তিন বার শালিস হয়েছে কিন্তু হেলাল হাজী দিনমজুরের টাকা না দেওয়ায় উপস্থিত গ্রাম্য মাতব্বর ও জনগন স্বাক্ষরিত একটি শালিসনামা লিখে সোহরাফ আলীকে দেওয়া হয়েছে। বিড়াকৈর গ্রামের আরেকজন ইউপি ফজলুল হক জানান গ্রামে এ ব্যাপারে তিন দিন শালিস হয়েছে তাতে প্রমান হয়েছে হেলাল হাজীর নিকট থেকে দিনমজুর সোহরাফ আলী কাজের মজুরি বাবদ মোট ৪৩ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু তিনি সোহরাফ আলীর পাওনা টাকা দেবেন না। শালিসের পর টাকা দিলে নাকি তার ইজ্জত থাকবেনা। প্রয়োজনে তিনি ১০ গুন টাকা খরচ করবেন তবুও দিনমজুর সোহরাফ আলীর পাওনা টাকা দেবেন না।
এ ব্যাপারে লিখিত আভিযোগ ও গ্রাম্য শালিসনামা সহ দিনমজুর সোহরাফ আলী শেরপুর থানার ওসি হুমায়ন কবিরের সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলার সময় তার দু’চোখ বেয়ে পানি নেমে আসতে থাকে। এ সময় উপস্থিত সকলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। শেরপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির অভিযুক্ত হেলাল হাজীকে একাধিকবার থানায় ডেকে পাঠালেও হেলাল হাজী থানায় হাজির হননি বলে ওসি হুমায়ন কবির জানান। ওসি হুমায়ন কবির আরও বলেন হেলাল হাজী যত ক্ষমতাবান লোক হোক না কেন দিনমজুর সোহরাফ আলীর পাওনা টাকা তাকে দিতেই হবে। ওসি হুমায়ন কবির এস আই পুতুল মোহন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত হেলাল হাজীকে একাধিকবার থানায় ডেকে পাঠালেও হেলাল হাজী থানায় হাজির না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে হেলাল হাজীর এতো খুঁটির জোর কোথায়?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close