ভেঙে যাচ্ছে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’
শেরপুর ডেস্ক: ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ থেকে ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এর দল গণ অধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি বিএনপি এবং সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল। কর্মসূচি পালন করেছে সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চও। এরপর ১৬ জানুয়ারি আবার সারাদেশে সমাবেশ করে বিএনপিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে সেদিন গণতন্ত্র মঞ্চে যোগ দেয়নি নুর এর দল গণ অধিকার পরিষদ। কারণ হিসেবে জানা গেছে, যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে সেদিন গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে যোগ দেয়নি গণ অধিকার পরিষদ। যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি অংশ নেয়নি।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি এক জরুরী বৈঠকে বসেছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতারা। সেখানে পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া তিনিও উপস্থিত ছিলেন। সেদিন ওই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবে গণ অধিকার পরিষদ।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, গত ১১ জানুয়ারি দেশে ফেরেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দেশে ফেরার আগেই তিনি লাইভে বলেছিলেন যে, তিনি দেশে এসে গণতন্ত্র মঞ্চের গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। গণ অধিকার পরিষদের নেতারাও বিষষটি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের জানান। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের পৌঁছানোর আগে মঞ্চের অন্যান্য শরিকরা অনেকটা তাড়াহুড়ো করে কর্মসূচি শেষ করেন বলে অভিযোগ পরিষদের নেতাদের। সেদিন গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ না পাওয়ার কারণে পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং সেদিনই এক ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় যে, তারা মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবেন। এদিকে ১৬ জানুয়ারি মঞ্চের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি মঞ্চে অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আ. স. ম. আবদুর রব।
অন্যদিকে বিএনপির সমমনা একাধিক জোটও ভাঙনের পথে বলে রাজনৈতিক মহলে জোরেশোরে গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এসব জোটের দলগুলো নাম সবর্স্ব। একক নেতার ওপর ভিত্তি করেই এ সমস্ত দলগুলো গড়ে উঠেছে, যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত রয়েছেন। সূত্রগুলো বলছে, এ সমস্ত জোটের নেতারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায়ে আন্দোলনের আড়ালে সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে। আর এ সমঝোতা বেশ অগ্রসরও হয়েছে বলে ওই সূত্রগুলো দাবি করছে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে যত জোট সরকারবিরোধী জোট গঠন হয়েছিল ঠিক তত তাড়াতাড়ি এই জোট গুলো এখন ভাঙনের মুখ দেখতে যাচ্ছে।