শেরপুর সরকারী গবাদি পশু উন্নয়ন খামারে দুধের উৎপাদন এখন প্রায় দ্বিগুন হচ্ছে
“মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু”
বগুড়ার শেরপুর সরকারী গবাদি পশু উন্নয়ন খামারে সঠিক ব্যবস্থাপনার কারনে দুধের উৎপাদন এখন প্রায় দ্বিগুন হচ্ছে। হাড্ডিসার গবাদি পশু গুলো এখন প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পরিচর্যার ফলে বেশ তরতাজা হয়ে উঠছে।
জানাযায় শেরপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসাবে ডা: আমির হামজা গত ১ মে যোগদান করার পর, সরকারী গবাদি পশু উন্নয়ন খামারে কোন কর্মকর্তা না থাকায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তিনি অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছেন। শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: আমির হামজা অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই অর্পিত দ্বায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: আমির হামজা বলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খামারের কাজের জন্য সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮-৯ টা পর্যন্ত এমনকি শুক্রবার, শনিবার পর্যন্ত তাকে কাজ করতে হয়েছে, যা অনেকেই অবগত রয়েছেন। মে’ ১৯ এ যেখানে প্রতিদিন দুধের উৎপাদন ছিল ১৩৫-১৪০ লিটার, যার আনুমানিক মূল্য দৈনিক গড়ে প্রায় ৬৫০০ টাকা। অক্টোবর /নভেম্বর ১৯ মাসে দুধের উৎপাদন ছিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২৪০-২৬০লিটার, যার আনুমানিক মূল্য দৈনিক ১১ হাজার টাকা থেকে প্রায় সাড়ে ১২ টাকা।
তিনি আরও বলেন টেন্ডারের মাধ্যমে এ বছর প্রায় ৩০ল টাকার গরু বিক্রি করা হয়েছে, যা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। সঠিকভাবে খাদ্য পরিবেশন ও রক্ষনাবেক্ষনের কারনে গরুর স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। খামারের ভিতরটা ছিল জংগলে পরিপূর্ণ, যা উপজেলা প্রশাসন থেকে ঢাকা হেড অফিস সহ আপমর জনসাধারণের অনেকেরই জানা ছিল। গবাদিপশুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা অনেক হাই অফিসিয়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ শেরপুর উপজেলার আপমর জনসাধারণ বিশেষ করে যারা খামারে টেন্ডারের মাধ্যমে গরু ক্রয় করেছেন তারা সকলেই জানেন,সততার সাথে কাজ করতে গিয়ে গরু বিক্রি হয়েছে পূনঃ টেন্ডারের মাধ্যমে। খড় এবং দানাদার খাদ্যের বিশাল মজুদও রয়েছে প্রচুর।
খামারী কামরুল হাসান লিটন বলেন শেরপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমির হামজা রানা যিনি নিজ দায়িত্ব সহ মোট তিন জন কর্মকর্তার দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন। ওনার সহধর্মিণী একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ওনার পরিবারের প্রায় সবাই সরকারি চাকুরী জীবী। উনি একজন নম্র ভদ্র, এবং আদর্শবান পিতার সন্তান এবং ওনার মধ্যে এই গুণাবলী বিদ্যমান আছে। তিনি শেরপুর আসার পর মাজিদা,রোকেয়া,পলাশ এর মত অনেকের মুক্তির দিশারি হিসেবে অকান্ত পরিশ্রম করে শেরপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন । ওনার উপর বাড়তি দায়িত্বের একটি শেরপুর ডেইরি ফার্ম, যার চিত্র মাত্র কয়েক মাসে পাল্টে দিয়েছেন। ফার্মের গবাদিপশু বা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বোঝা যায় তিনি অনেক খামারিদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সকালে অফিসে আসার সময় দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়ারে করে বাসা থেকে নিয়ে এসে টেবিলে বসেই খেয়ে নেন,যাতে সেবা গ্রহীতাদের সেবার কোনো প্রকার বিচ্যুতি না ঘটে। উনি কোনো পদকের আশায় কাজ করেন না, উনার চাওয়া সকলের ভালবাসা।
খামারি আবু সাঈদ বাবু বলেন শেরপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমির হামজা সর্ম্পকে বলেন লোকের কথায় কান না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এটাই আমরা আশা করি। তিনি আরও বলেন ডেইরি ফার্মের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। এটা শেরপুর বাসীর গর্ব করে বলতে হবে।