ভারতে এনআরসি বাংলাদেশের জন্য হুমকি: ফখরুল
শেরপুর ডেস্ক: ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি এনআরসি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আজকে ভারতে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, সংঘাত সৃষ্টি করবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলে শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের একথা বলেন মির্জা ফখরুল। এর আগে দলীয় নেতাদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। তারা পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে কিছুণ সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাজনীতির যে মূল বিষয়গুলো ছিল- উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সেই বিষয়গুলো ধ্বংস করে দিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ ধরনের (এনআরসি) প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের যিনি ঘোষণা দিয়েছেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যেসব বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যিনি ঘোষণা দিয়েছেন তার সহধর্মিণী (খালেদা জিয়া) স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন- তাকে আজকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা, আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবার যে স্বপ্ন- তা বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার আজকে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের অর্জনগুলোকে, জাতির অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা আজকে একটা গণতন্ত্রবিহীন, জনগণের অধিকারবিহীন একটা অবস্থার মধ্যে বিরাজ করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যখন আমাদের নেত্রী কারাগারে, আমরা আজকে একটা গণতন্ত্রবিহীন, জনগণের অধিকারবিহীন অবস্থার মধ্যে বাস করছি। আজকে আমাদের নেত্রী যখন কারাগারে বন্দি, যখন আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক সব দলগুলোকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, বিএনপিকে যখন নিমূর্ল করার চেষ্টা করা হচ্ছে- সেই সময়ে আজকে বড় প্রয়োজন যেটা পুরো জাতির ঐক্য। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রা করার জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, আমাদের সংগ্রামের আরও গতি বাড়াব, সংগ্রামকে আরও বেগবান করব। ইনশাআল্লাহ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় অর্জন করব।
এ সময় সেখানে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম, মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিক শিকদার, কাজী আবুল বাশার, আহসান উল্লাহ হাসান, অঙ্গ সংগঠনের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিউল বারী বাবু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আনোয়ার হোসেইন, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।