নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে সরকারের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন উচ্চ আদালত
শেরপুর ডেস্ক: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে করা মামলায় আইনটির স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন উচ্চ আদালত। তবে নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে সরকারের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন আদালত। তাছাড়া এই আইনের বিরোধিতায় দায়ের করা সবকটি মামলার শুনানি আগামি ২২ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতে মামলা করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মহারাজা কিশোর দেব বর্মন। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানির দিন ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) ধার্য করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আইনটির স্থগিতাদেশ না দিলেও এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বেঞ্চ।
গত ১১ নভেম্বর রাজ্য সভায় নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে ভারতের উচ্চ আদালতে মোট ৫৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । বুধবার উচ্চ আদালত সবকটি মামলার শুনানির তারিখ আগামী ২২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন।
এদিকে আজও দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিােভ চলছে । বিুব্ধ শিার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘হিন্দু-মুসলিম একতা জিন্দাবাদ।’ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মারধর নিয়ে করা মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুসলিম অধ্যুষিত সিলামপুরে পুলিশের সঙ্গে বিুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় বুধবার অন্তত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১১ তারিখে ভারতীয় সংসদের উচ্চক রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়। বিলটি পাশের পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ভারত। বিলটি আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পাবে। সেেেত্র বিপাকে পড়বে সেখানকার মুসলিমরা।