বিনোদন

মুক্তি পেল সাঁঝবাতি

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: বাংলা টেলি সিরিয়াল জগতের এক এবং অদ্বিতীয়া লীনা গাঙ্গুলী এবার হাজির তার দ্বিতীয় সিনেমা নিয়ে। নাম ‘সাঁঝবাতি’। শেষ ছবি মাটির মতোই তিনি জুটি বেঁধেছেন শৈবাল ব্যানার্জির সঙ্গে। শুক্রবার কলকাতার নন্দন প্রোগৃহে হয়ে গেল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, দেব ও পাওলি দাম অভিনীত এই ছবির প্রিমিয়ার। লীনা বলেন, মানুষের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেছি সব সময়; আর তা দিয়েই গল্প লিখেছি। আর সেই গল্প দিয়েই সিনেমা। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে।
শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও লীনা গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি বেঙ্গল টকিজ দ্বারা প্রযোজিত ও অতনু রায়চৌধুরী নিবেদিত। এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন অনুপম রায়।
বাংলা সিনেমা ‘মাটি’তে যে সাফল্যের জুটি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়-লীনা গঙ্গোপাধ্যায় দর্শক মনস্কতার পরিচয় রেখেছিলেন, তাদের দ্বিতীয় ছবি ‘সাঁঝবাতি’তেও সেই ধারা অব্যাহত। সংখ্যাগুরু বাঙালি দর্শকের কী ভালো লাগতে পারে সেটা বুঝেই গল্প সাজিয়েছেন লীনা। ছোটপর্দার এতদিন কাজ করার সুবাদে আমদর্শকের রুচি তিনি বোঝেন। সুতরাং ভালো আর মন্দের মাঝে কোনো ঝাপসা এলাকা নেই।
ছবির গল্প টানটান। সৌমিত্র চ্যাটার্জী এই ছবিতে ছানা দাদু। ছানা দাদু, সুলেখা’র (লিলি চক্রবর্তী) বন্ধু হিসেবে ছবিতে উপস্থাপিত হয়েছেন। লিলি চক্রবর্তী একটি বাড়িতে থাকা একলা বৃদ্ধা সুলেখা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছবিতে। তার ছেলেরা কর্মসূত্রে দেশের বাইরে থাকে। দেব; চন্দন (চাঁদু) হিসেবে। ছবিতে সুলেখা’র বাড়ির ভৃত্য হিসেবে দেখা যায় চাঁদুকে। পাওলি দাম; ফুলি হিসেবে প্রৌঢ়া সুলেখা’র (লিলি চক্রবর্তী) দেখভালের জন্য দুজন কর্মীর একজন।
দেশে একলা পড়ে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্কট নিয়ে ছবি শহুরে বাঙালিকে খুব চেনা একটা গল্প বলে। সেই গল্পটাই ‘সাঁঝবাতি’। সুলেখা, তার রান্নার মেয়ে ফুলি (পাওলি দাম) ও কেয়ারটেকার কাম ড্রাইভার চাঁদুকে (দেব) ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে ছবি। ছোট্ট চরিত্রে চমৎকার ছোট-ছোট কাজ করে যান সোহিনী সেনগুপ্তও।
চারজন দ অভিনয়শিল্পীর সমন্বয় দেব, পাওলি, সৌমিত্র এবং লিলি চক্রবর্তীর উপস্থিতি দর্শকদের স্বভাবতই মুগ্ধ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সিনেমাহল থেকে বের হওয়া এক বুদ্ধা জানালেন, সৌমিত্র এবং লিলি চক্রবর্তীর অভিনয় তো তুলনা করা যায় না, গল্পের সাথে খুব সাবলীল অভিনয় দেখতে পেরেছি দেব এবং পাওলিরও। গল্পটি হৃদয়ের খুব কাছের মনে হলো।
তিনি আরো বলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তো তুলনাহীন। কয়েকটি হাসির মুহূর্ত, হাতের সঞ্চালন, দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং সংলাপ বলার অনুকরণীয় স্টাইল ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। লিলি চক্রবর্তীও ভালো করেছেন। অবাক করেছেন বটে দেব। নাটুকে অভিনয়ের মধ্যেও দেব অনেক সংযত। স্বাভাবিক। কিছু নীরব মুহূর্তেও তিনি যেন অপরিচিত এক দেব। তার এই ট্রান্সফরমেশন সত্যিই প্রশংসার। পাওলি দামের ফুলি বেশ টগবগে, উচ্ছ্বল, আবার প্রতিবাদে সোচ্চারও। তিনি স্পন্টেনিয়াসলি অভিনয়টা করেছেন।
পরিচালক লীনা বলেন, মাটির মতো সাঁঝবাতি যেন মানুষের মন জয় করতে পারে এবং বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে যাতে পৌঁছে দিতে পারি এই প্রত্যাশা রাখছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close