মিয়ানমারের আদালতে রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ
শেরপুর ডেস্ক: ২৩ জন শিশু সহ ৯৩ জনকে হাজির করা হয় মিয়ানমারের পাথেইন এলাকার একটি আদালতে। ওই সময় আদালতে স্যা দেন অভিযোগকারী অভিবাসন কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আটকদের দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া রাখাইান ছেড়ে উরাওয়াদি যাওয়ার পথে শিশুসহ ৯৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদের হাজির করা হয় আদালতে। এর আগে ২৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
আদালতে রোহিঙ্গাদের পে আইনজীবী থাজিন মিইন্ট মিয়াত উইন বলেন, রাখাইন রাজ্যে পরিস্থিতি অনেক খারাপ বলে তারা (রোহিঙ্গারা) পালাতে চেয়েছিল। অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোহিঙ্গারা। ছাড়া পাওয়ার জন্য তারা আর্তনাদও করেছেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের পর ২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ে’ এই অভিযানে হত্যা ও ধর্ষণ চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত দল।
রাখাইন রাজ্যে এখনো ছয় লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা বাস করেন। স্বাস্থ্যসেবা, শিাসহ মৌলিক অধিকার ঠিক মতো পান না তারা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ অবস্থাকে ‘শোচনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে সামনের বছরের ৩ জানুয়ারি।