বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই নৌকার হাল
শেরপুর ডেস্ক: শেখ হাসিনার হাতেই আবারও নৌকার হাল দিয়ে নির্ভার নেতাকর্মীরা। ৩৮ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে টানা নবমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত করেছেন কাউন্সিলররা। অপরদিকে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরই দ্বিতীয় মেয়াদে পুনর্র্র্নিবাচিত হয়েছেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার কাউন্সিল অধিবেশন শেষ পর্বে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের নির্বাচিত করা হয়। এরপর নতুন কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টা পরিষদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে নাম প্রস্তাব করে কাউন্সিলের সম্মতি নেন। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ওপরই আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং পরের বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ভার থাকছে।
দেশজুড়ে চলমান তীব্র শীতের কারণে দলীয় সভাপতির নির্দেশনায় কাউন্সিল অধিবেশনের কর্মসূচি সংপ্তি করা হয়। নতুন কমিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা বিকালে হওয়ার কথা থাকলেও তা সেরে ফেলা হয় দুপুরের মধ্যেই। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার পর রেওয়াজ অনুযায়ী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কাউন্সিলরদের সারিতে গিয়ে আসন নেন। এরপর মঞ্চে আসেন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে এ কমিশনের অপর দুই সদস্য ছিলেন উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সাইদুর রহমান। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু সভাপতি পদে আবারও শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন দেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। অন্য কোনো নামের প্রস্তাব না থাকায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শেখ হাসিনাকে টানা নবমবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচন কমিশনের সামনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তাতে সমর্থন দেন। এই পদের জন্যও অন্য কোনো নামের প্রস্তাব আসেনি। ফলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
দেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগকে টানা ৩৮ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসা নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালনের রেকর্ডও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত ৩৮ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দলটির শীর্ষ পদে আছেন তিনি। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দলের ত্রয়োদশ সম্মেলন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রীয় মতায় বসেছে।
এর আগে বেশ কয়েকবার দলীয় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে ‘বিকল্প নেই’ বলে শনিবার একবিংশতম সম্মেলনেও তাকেই সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে দলের হাল ধরার কথা স্মরণ করে কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করা, ুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদা এনে দেওয়া- এটাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র ল্য। সেই ল্য নিয়েই তিনি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আমার একটাই ল্য- তার সেই আকাক্সাটা পূরণ করা। স্বপ্নটা পূরণ করা। ুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেন অন্তত আমার বাবা-মায়ের আত্মাটা শান্তি পায়। আর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা, সেটা যেন বৃথা না যায়, সেই ল্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রæয়ারির সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর পঞ্চদশ, ১৯৯৭ সালের মে মাসে ষোড়শ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সপ্তদশ, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অষ্টাদশ, ২০১২ সালের ডিসেম্বর ঊনিবিংশ এবং ২০১৬ সালে বিংশতম সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন হাসিনা।
শোক নিয়ে ফেরা বর্ণময় জীবন: শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরের ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাদের নির্বাসিত জীবন কাটে। ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছরের মাথায় সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বসেন বিরোধীদলীয় নেতার আসনে। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে মিলে একনায়ক এরশাদ সরকারের পতন ঘটায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গিয়ে আবার বিরোধী দল হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তার সেই সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির কথা বলা হয়।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে তৃতীয়বারের মতো বিরোধীদলীয় নেত্রী হন শেখ হাসিনা। ওই সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি তিগ্রস্ত হয়।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মতা নেওয়ার পর আরও অনেক রাজনীতিবিদের মতো শেখ হাসিনাও গ্রেপ্তার হন। দুই বছরের মাথায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে ২৩১টি আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেই সরকারের মেয়াদ শেষে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত সব দলই অংশ নেয়। ভোটের ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে চতুথবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড চতুর্থ মেয়াদ: বিশ্বের নারী নেত্রীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি দিন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের কাতারে শেখ হাসিনার অবস্থান মেয়াদের দিক দিয়ে তৃতীয়।
শ্রীলঙ্কার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বন্দরনায়েকে আধুনিক বিশ্বের প্রথম নারী সরকারপ্রধান ছিলেন। সিলনও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিন দফায় ১৭ বছর ২০৮ দিন দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী। ঘাতকের হাতে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই দফায় মোট ১৬ বছর ১৫ দিন তিনি ভারত সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা তিন দফায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে আরও পাঁচ বছরের জন্য সরকারে আছেন। এ মেয়াদ পুরো হলে সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
ক্যারিবিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়া ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্রের ইউজিনিয়া চার্লস মতায় ছিলেন ১৪ বছর ৩২৮ দিন।
২০০৫ সাল থেকে একটানা ১৪ বছর জার্মানির মতায় আছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল। ২০২১ সালে নির্বাচনের পর অবসরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে রেখেছেন তিনি।
আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে একটানা ১২ বছর ছয় দিন দায়িত্ব পালনের পর এলেন জনসন সারলিফ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মতা ছাড়েন।আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের নারী রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে এ ছয়জনই একযুগের বেশি সময় সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কমিটিতে যারা আছেন: এদিকে কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা সভাপতিমণ্ডলীতে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই জানিয়ে নতুন করে তিনজনকে অন্তর্ভুক্তির করার কথা ঘোষণা করেন। তাতে গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পান। আর পুরনো সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান খান ও অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। উপদেষ্টা পরিষদে আগের কমিটির সদস্যদের নাম পড়ে শুনিয়ে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এবার যেহেতু উপদেষ্টার দশটি পদ বাড়ানো হয়েছে, বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
পুরনো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনির সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছেন সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আগের কমিটির আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজমের নাম।
কোষাধ্য পদে এবার নতুন কারও নাম ঘোষণা করেননি শেখ হাসিনা। এইচ এন আশিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরেই এ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগের কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ হয়েছেন নতুন কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ূয়া এবার পুরো দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। আইনবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছেন অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। মেহের আফরোজ চুমকি পেয়েছেন মহিলাবিষয়ক সম্পাদকের পদ।
এছাড়া আগের কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদকে পুনর্র্নিবাচিত করা হয়েছে, আগের কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মৃণাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শামসুন নাহার চাঁপা, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবারও একই দায়িত্বে আছেন।
সংসদীয় বোর্ডের সদস্য যারা: আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ওবায়দুল কাদের ও মো. রশিদুল আলম।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে যারা আছেন: মতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফরউল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, মো. রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান ও ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
উপদেষ্টা পরিষদে যারা: ডা. এস এ মালেক, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, অধ্যাপক ডা. রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. হামিদা বানু, অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এম এ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়ূয়া, মে. জে. (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মো. রাশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান ও জয়নাল হাজারী।
কার্য নির্বাহী কমিটিসহ অন্যান্য যেসব পদে নাম ঘোষণা হয়নি, পরে প্রেসিডিয়াম বৈঠকে আলোচনা সাপেে সেসব পদ পূরণ করা হবে বলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা জানিয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে যাবে।