বিনোদন

‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার!

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদী বিােভে উত্তাল ভারত। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে মুম্বাইয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার। সরব হয়েছিলেন টুইটেও। এর জেরে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’র তকমা সেঁটে থানায় অভিযোগ দায়ের হলো অভিনেতা ফারহান আখতারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী আইনজীবী হিন্দু সংগঠনের সভাপতি।
১৮ ডিসেম্বরের কথা। টুইটারে প্রতিবাদী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার। কোনও রকম রাখঢাক না করে সোজাসুজি লিখেছিলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করে প্রতিবাদের দিন ফুরিয়েছে, এবার রাস্তায় নামুন’। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে একদিকে যখন উত্তাল ভারত, বলিউড পাড়ার ডাকসাইটে ক’জন অভিনেতা ভাবলেশহীন। যার জন্য নেটদুনিয়ায় কটারে শিকারও হতে হয়েছে তাঁদের। তবে সে পথে হাঁটেননি ফারহান। বরাবরের মতো সরকারের সমালোচনা করে সিএএ, এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। যার জেরে সন্দীপ মিত্তাল নামে মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই অভিনেতাকে। এবার সরাসরি পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলো ফারহানের বিরুদ্ধে।
‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে ফারহান আখতারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন করণাসাগর কাশিমসেট্টি নামে জনৈক আইনজীবী। এই অভিনেতার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ওই আইনজীবী। ১৮ ডিসেম্বর ফারহানের করা টুইটে একটি ছবি ছিল। যাতে সিএএ এবং এনআরসি’র বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ করা হচ্ছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ছিল। ফারহানের পোস্টে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের এক প্রতীকও ছিল। এতেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।

করণাসাগর কাশিমসেট্টির অভিযোগ, ফারহান তাঁর টুইটে মুসলিম, দলিত, রূপান্তরকামী, নাস্তিকদের দেশের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছেন। ফারহানের মন্তব্য দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ডেকে আনতে পারে। দাঙ্গা বাঁধাতে পারে। তাই এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে সাইদাবাদ পুলিশ স্টেশন সূত্রে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্রাউজ করার সময়ে ফারহান আখতারের করা ১৮ ডিসেম্বরের টুইটটি দেখতে পাই। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে অমানবিকভাবে মুসলিম, ভূমিহীন দলিত, রূপান্তরকামী এবং যাদের নথিপত্র নেই এমন মানুষদের দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে না। তাঁদের জেলে ঢোকানো হতে পারে কিংবা দেশের বাইরে বের করে দেওয়া হতে পারে। যেসব কথা উসকানিমূলক এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। ফারহান এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন এবং তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বিােভও হয়েছে। যাতে সরকারি সম্পত্তির মারাত্মক নষ্ট হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিএএ-এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে টুইটারে মোদি-শাহ বিরোধী মন্তব্য করার জন্য সদ্য অভিযোগ দায়ের হয়েছে খ্যাতনামা তামিল অভিনেতা সিদ্ধার্থের নামে। যে তালিকায় রয়েছেন দ্রাবিড়ভূমের গায়ক টিএম কৃষ্ণসহ অনেকেই। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close