স্থানীয় খবর

শেরপুরে খালের ওপর ভাঙা ব্রীজ মানুষ ও যান চলাচল বিঘিœত

Spread the love

“মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু”
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের নাম বেড়েরবাড়ী। গ্রামটির প্রবেশমুখেই বহমান খালের ওপর একটি ব্রীজ। কিন্তু ওই ব্রীজের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে খালের সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে ওই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি ভাঙা ব্রীজের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে কৃষিনির্ভর গ্রামটির সিংহভাগ মানুষ তাদের উৎপাদিত রকমারি কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে পারছেন না। পাশাপাশি কোমলমতি শিার্থী ও বয়স্ক মানুষের চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এমনিতেই কাচা সড়ক; এর ওপর ভাঙা ব্রীজ। এসব মিলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বেড়েরবাড়ী গ্রামের মানুষ। এরপরও অনেকে বাধ্য হয়েই দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে থাকা অরতি ওই ব্রীজটির ওপর দিয়েই চলাচল করছেন । অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সেদিকে কোন নজর নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সীমান্তবর্তী গ্রাম বেড়েরবাড়ী। গ্রামের চারপাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল ও বিল। আদিকাল থেকেই গ্রামের বসবাসরত মানুষ কৃষি কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্তমানে শিা ও ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি ঘটায় কিছুটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে ওই গ্রামের মানুষের। তবে কৃষি সমৃদ্ধ গ্রামটির মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। পাশ্ববর্তী গ্রাম শুভগাছা জাঙ্গাল পাড়া থেকে বেড়ের বাড়ী গ্রামের (পশ্চিমপার্শে) প্রবেশ মুখের ব্রীজটির অর্ধেক পরিমাণ ভেঙ্গে খালের সঙ্গে মিশে গেছে। এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কের ওই ভাঙা ব্রীজটি দীর্ঘদিনেও মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। কর্তৃপরে উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে ভাঙা ব্রিজটি সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেড়েরবাড়ী গ্রামে নারী-পুরুষ মিলে প্রায় ৫৭৫ জন মানুষ বসবাস করেন। দেশ স্বাধীনের অনেক আগেই ওই গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে খালের ওপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও এই এলাকায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এছাড়া বর্তমানে ব্রীজটির অর্ধেক ভেঙে যাওয়ায় সড়কটি দিয়ে ভ্যান গাড়ী, মোটর বাইক ও বাইসাইকেল সহ কোন প্রকার যান চলাচল করতে পারছেন না। এমনকি রাতের বেলায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে জানান তারা। স্থানীয় বাসিন্দা ইসাহাক আসিফ জানান, ব্রীজটা নিচু হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক বয়ে যাওয়া বন্যায় কোমর পরিমাণ পানি ছিল ব্রীজের ওপর। সে সময় সে সহ এলাকার অনেকেই ব্রীজের ওপর দিয়ে চলাচল করতে সাহস পায়নি। এছাড়া ব্রীজের ওই ভাঙ্গা অংশে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। শাহ আলম নামের এক কৃষক বলেন, এক বছর হলো ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে আছে। ফলে সবজি, ভুট্রা, ধান, গম সহ যাবতীয় ফসলাদি বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এমনিতেই কাচা রাস্তা তারপর ব্রীজও ভাঙা। গাড়ী ও মালামালের তির ভয়ে কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গুরুত্ব দিলে ব্রীজটি অনেক আগেই মেরামত করা সম্ভব হতো। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও চেয়ারম্যানরা নির্বাচনের সময় যেসব প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন তার সঙ্গে কাজের কোন মিল দেখছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে জানতে চাইলে খামারকন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব জানান, দ্রæততম সময়ের মধ্যে ব্রিজটির সংস্কার কাজ শুরু হবে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close