স্থানীয় খবর

হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে শেরপুরে দেবোত্তর মালিকাধীন বাগড়াদিঘীর ত্রিশ লাখ টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগ

Spread the love

ষ্টাফ রির্পোটার: বাগড়াদিঘীটি দেবোত্তর সম্পত্তি। তাই শত বিঘা আয়তনের এই দিঘীটি দেখাশোনা ও রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন সনাতন ধর্মের সেবায়েতগণ। তারা এটি বার্ষিক ইজারা দিয়ে প্রাপ্ত অর্থে শ্রী শ্রী কালাচাঁদ বিগ্রহের পূজা অর্চনা করে থাকেন। কিন্তু এই দিঘীটিকে নিয়ে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কথিত ভূমিহীন নামধারী সন্ত্রাসীরা। এমনকি এই জলাশয়টিকে সরকারি খাস সম্পত্তি দাবি করে অবৈধভাবে দখলেরও অপচেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যুরা। একপর্যায়ে দখলে ব্যর্থ হয়ে দিঘীটির ত্রিশ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। গত বুধবার (১৮সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার শেরপুর প্রেসকাবে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও দিঘীটির সেবায়েত শ্রী বরেন্দ্র চন্দ্র স্যানাল এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই দিঘীটি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। সরকার পক্ষের সঙ্গে চলা প্রায় সব মামলাতেই রায় পেয়েছেন তারা। এরপরও সরকার পক্ষ আপিল করেছে। তবে দিঘীটি তাদেরই দখলে রয়েছে। কিন্তু এলাকার স্থানীয় চিহিৃত ভূমিদস্যুরা আপিলের সূত্রে সুযোগ খুঁজতে শুরু করেছে। কখনো ভূমিহীন আবার কখনও নদী ভাঙা লোক দাবি করে এই দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে ভূমিদস্যুরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ০৯ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে বাগড়া দিঘীটিকে অবৈধভাবে দখলে নিতে হানা দেয় তারা। এমনকি দিঘীর পাড় কেটে পানি বের করে দেয়া হয়। এতে পানির সঙ্গে মাছের রেণু পোনাও নষ্ট হয়। ফলে ইজারাদার মালিককের প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সেবায়েত বরেন্দ্র চন্দ্র স্যানাল অভিযোগ করে আরও বলেন, তাদের বাধার মুখে চিহিৃত ভূমিদস্যুরা পালিয়ে গেলেও চক্রটি থেমে নেই। দিঘীটি নিয়ে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আর ওই ভিত্তিহীন তথ্যের সূত্রধরেই একটি স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের এই নেতা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সেবায়েত শ্রী শিবেন্দ্র চন্দ্র স্যানাল, শ্রী কানাই চন্দ্র স্যানালসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close