শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
শেরপুর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান যুগে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ল্েয নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য শিার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। যাতে তারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে।’ ‘একথা মাথায় রেখেই তার সরকার শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীার ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক ও গণশিা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি পরীার ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিাকে আরও আধুনিক, উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত করতে চাই। শুধু সাধারণ শিা নয়, কারিগরি শিাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে একজন ছেলেমেয়ে কারিগরি শিায় শিতি হয়ে নিজেরা কিছু করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভালো ফলাফল করতে হলে আমাদের শিশুদের আরও মনোযোগী হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন ফলাফল আরও ভালো হয়, সেজন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।’
তার সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেয়াসহ বৃত্তি প্রদান করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গরিব বাবা-মার ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য আমরা বছরের শুরুতেই বই দিচ্ছি। স্কুল ও কলেজ সরকারি করে দিচ্ছি। শিার্থীদের যেন নদী-নালা, খাল-বিল পার হতে না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে স্কুল করে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শিকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। উচ্চশিাসহ সর্বস্তরে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। কোন শিার্থী যেন ঝরে না পড়ে এজন্য সরকারের প থেকে সাহায্য করা হচ্ছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে শিার কথা বলা আছে গুরুত্বের সঙ্গে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশটাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিার কোন বিকল্প নেই । তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে থাকবে না কোনো দারিদ্র্যতা, বৈষম্য। থাকবে উন্নত সমাজব্যবস্থা। পড়াশোনার পাশাপাশি কোমলমতি শিার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।