যুদ্ধের শঙ্কা মধ্যপ্রাচ্যে
শেরপুর ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান-মার্কিন এই উত্তেজনা যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। মার্কিন মিত্রদের, এমনকি দেশের ভেতরেও সমর্থন নেই এ হত্যাকাণ্ডে তেমন একটা সমর্থন পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পেন্টাগন দাবি করেছে।
কারও লাভ হবে না : ব্রিটেন
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ‘লন্ডন সব সময় সোলেইমানি ও তার নেতৃত্বাধীন কুদস বাহিনীকে আক্রমণাত্মক হিসেবেই বিবেচনা করে আসছে। তার মৃত্যুর পর সব পরে প্রতি আহ্বান জানাই উত্তেজনা প্রশমনের। সংঘাত কারোর জন্যই লাভজনক হবে না।’
দায়িত্বহীন পদপে : রাশিয়া
ইরানের অন্যতম মিত্র রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোলেইমানি হত্যাকে দায়িত্বহীন পদপে হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মস্কো বলছে, পুরো অঞ্চলে উদ্বেগ বেড়ে যাবে।
সংযম রার আহ্বান চীনের
সোলেইমানি হত্যার পর চীন সংশ্লিষ্ট সব পকে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সংযম রার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, চীন সব সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের েেত্র শক্তি প্রয়োগের বিরোধী। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা যাতে না বাড়ে সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সব পকে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সংযম রার আহ্বান জানাই।
এ আক্রমণ আমাদের ওপর : ইরাক
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি জেনারেল সোলেইমানি এবং ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহানদিসকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটাকে ইরাকে মার্কিন সৈন্যদের অবস্থানের শর্তের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন। এ বিষয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন মাহদি।