স্বাস্থ্য কথা

শীতে লালশাক খাবেন যে কারণে

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: শীতের দুপুরে একথালা ধোয়াওঠা গরম ভাতের সঙ্গে লালশাক ভাজা হলে আর কী লাগে! লালশাক দেখতে যেমন সুন্দর, স্বাদ ও পুষ্টিগুণেও তেমনই সেরা। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবই রয়েছে। এছাড়াও লালশাক শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে উন্নত দৃষ্টিশক্তি সবেতেই লাল শাকের ভূমিকা রয়েছে। জেনে নিন লালশাক খাওয়ার কিছু উপকারিতা-
নিয়মিত পাতে রাখুন লালশাক। এতে শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হবে। ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
লালশাকে থাকা ভিটামিন সি রেটিনার মতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লুকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লালশাক খাওয়া শুরু করুন। অল্পদিনেই উপকার পাবেন।
যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এেেত্র একটি প্যানে পরিমাণমতো পানি নিয়ে তাতে একমুঠো লালশাক ফেলে দিন। তারপর পানি ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর সেরে গেছে।
লালশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হাড় শক্তপোক্ত হয়ে উঠলে অস্টিওপরোসিস মতো হাড়ের রোগ যে আর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, তা আর বলার অপো রাখে না।
লালশাকে থাকা ‘ফাইটোস্টেরল’ নামক একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগের অ্যান্টিডোট হিসেবেও কাজ করে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন যদি লালশাক খাওয়া যায়, তাহলে হার্টের কর্মমতা বৃদ্ধি পায়।
লাল এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যানিমিয়া রোগীরা এই শাকটি খেতে পারেন। দুই আঁটি লাল শাক পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে শরীরে কখনো রক্তের অভাব হবে না। লালশাকে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের রণ বাড়িয়ে দেয়। সেইসঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজমের আশঙ্কা কমে।(সংগৃহিত)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close