মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন যারা
শেরপুর ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপল্েয মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মদ বিন যায়েদ আল-নাহিয়ান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, ভুটানের রাজা জিগমে ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মঙ্গলবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকটি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপল্েয দেশের বাইরে বাংলাদেশের অনেক মিশনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরি করছে সরকার; যার মধ্যে পাকিস্তান মিশনের ম্যুরালটি হবে সবচেয়ে বড়ো। বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রতীকী বিমান অবতরণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আবহ সৃষ্টি করে জন্মশতবার্ষিকীর ণ গণনা শুরুর উদ্বোধন হবে। ঐ দিন বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৩০জে উড়োজাহাজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অবতরণ করবে। ‘পাকিস্তানে বড়ো ম্যুরাল কেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির জনগণ তাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলছে, আগামী ১০ বছরে পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড বানানোর দরকার নাই, বাংলাদেশের মতো হতে পারলেই আমরা খুশি। এজন্য পাকিস্তানে আমরা বাংলাদেশকে ভালো করে তুলে ধরতে চাই। তিনি আরো বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের যত মিশন রয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তান মিশন হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো (আয়তনের দিক থেকে)। নিজেদের পয়সায় মিশন বানাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে বাংলাদেশের ৭৭টি মিশনে ২৬১টি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। বড়ো বড়ো ১২টা মিশনে চিত্রকলা প্রদর্শনী হবে। এছাড়া বিশ্বের একাধিক দেশে বঙ্গবন্ধু চেয়ার তৈরি করা হয়েছে।