দেশের খবর

১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনব : সজীব ওয়াজেদ জয়

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণদের দাবি, সব জায়গায় ওয়াই-ফাই জোন করে দেয়া। আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সবাইকে আমরা অনলাইনের আওতায় আনব। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা। রোববার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে দেশের ১৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন সংযোগ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১০ বছরে ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি : প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন আমরা আরম্ভ করি তখন অনলাইন তো দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেত যা এখন প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি।
ওয়াই-ফাই জোন সব জায়গায়ই হবে : সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবারই দাবি, সব জায়গায় ওয়াই-ফাই জোন করে দেয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের, সেই কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। এই প্রকল্প হলো সেটারই অংশ যে, সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের টেলিযোগাযোগ বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওয়াই-ফাই জোন করে দিচ্ছে। এই কাজ চলমান থাকবে। সারা দেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।
জুনে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াই-ফাই : ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ওয়াই-ফাই চালু করা হবে। প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনে তার অধিক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিকাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্নমেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close