দেশের খবর

অসময়ে এত ইলিশ!খুশি ভোজনরসিক ও বিক্রেতারা

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: বরিশাল নগরীর হাটবাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর ইলিশ। নগরীর অলিগলিতেও ফেরি করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। আকৃতিও বেশ বড়। দাম নাগালের মধ্যে। প্রায় এক সপ্তাহ ইলিশের এমন প্রাচুর্যে খুশি ভোজনরসিক ও বিক্রেতারা। স্থানীয় নদনদীতে এ ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জেলেরা জানান। অসময়ে ইলিশ পাওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তবে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর ও ইলিশ গবেষকরা এমন ঘটনাকে ইলিশের ‘সেকেন্ড সিজন’ ফিরে আসার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন।
শনিবার নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে প্রচুর ইলিশের সরবরাহ। ব্যবসায়ীরা ইলিশ কেনাবেচায় ব্যস্ত। ক্রেতাও রয়েছে বেশ। মোকামের ব্যবসায়ী মো. জহির বলেন, জানুয়ারি মাসে এত ইলিশ গত ১৫ বছরেও দেখা যায়নি। শনিবার প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ উঠেছে এ মোকামে, যার পাইকারি দাম ছিল এলসি সাইজ (৭০০-৮০০ গ্রাম ওজন) প্রতি মণ ২৫ হাজার টাকা এবং এক কেজি সাইজ ৩২ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে এলসি সাইজ ৬২৫ টাকা এবং কেজি সাইজ ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের মূল সিজন সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দামের বর্তমান সময়ের দামের খুব বেশি পার্থক্য নেই।
জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, কয়েক দিন ধরে বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এ বছর শীতে মাছের আকারও ভালো। তিনি বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম মূলত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। চলমান পূর্ণিমার জো’তে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ইলিশের ‘সেকেন্ড সিজন’ আবার ফিরে এসেছে। গত ১৫-২০ বছর এভাবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ইলিশ পাওয়া যায়নি।
এ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ২০০২ সালের আগে এ মৌসুমে জেলেদের জালে বেশি ইলিশ ধরা পড়ত। সে অবস্থা হয়তো আবার ফিরে আসছে। অফ সিজন সত্ত্বেও গত পাঁচ দিন ইলিশের সরবরাহ ব্যাপক। গতকাল ৫০০ মণ ইলিশ উঠেছে পোর্ট রোড মোকামে।
বরিশাল মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি অজিত দাস বলেন, শীতে আগে এত বড় ইলিশ দেখা যায়নি। এবার অসময়ে ইলিশ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে জাটকাও ধরা পড়ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। প্রবীণ এ মৎস্য ব্যবসায়ীর আশঙ্কা- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের মৌসুম পরিবর্তন হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close