দূর্নীতির মামলায় গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল সহ ৫জনকে জেল হাজতে প্রেরণ
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : ৮২ লাখ টাকা টেন্ডার দূর্নীতির মামলায় বগুড়ার গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সহ ৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার মামলার শুনানী অন্তে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। অন্যান্য আসামীরা হলো গাবতলী পৌর সচিব শাহিন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ও ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামছুল আলম। আদালত এর আগে গাবতলী উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেএম আবু হাশেমকেও জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, গাবতলী পৌরসভার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের উন্নয়নমূলক কাজের ৮২লাখ টাকা টেন্ডার দূর্নীতির অভিযোগ এনে পৌর সদরের পূর্বপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মেসার্স তানভীর ট্রেডাস এর স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর জেলা বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলামকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে উক্ত আদালত দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়াকে মামলার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত করে বিগত ২০১৭ সালের ৩০মার্চ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলো গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ, পৌর সচিব শাহিন মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কেএম আবু হাশেম, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামছুল আলম ও ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা বেগম। মামলায় অভিযুক্তরা এরআগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ২০জানুয়ারী বগুড়ার নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন না মুঞ্জুর করে ওই অভিযুক্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। উল্লেখ্য যে, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ইতিপূর্বে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের অনিয়ম করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত করেছে বলে একাধিকসূত্র জানায়। এছাড়াও গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিশেষ বরাদ্দের কোটি কোটি টাকার নামেমাত্র কাজ দেখিয়ে লুটপাট করেছে বলে ওই জানায়।
দুদক বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে মেয়র সহ ৬ জন সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক শুনানী শেষে সাবেক নারী কাউন্সিলর আফরোজা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন এবং অপর ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।