বিদেশের খবর

সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে অবিচল লড়াইয়ে এক নারী!

Spread the love

শেরপুর ডেস্ক: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থানের পর প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এবার আমাজনের বিলিওনেয়ার জেফ বেজোসের মোবাইলফোন হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে সালমানের বিরুদ্ধে। এদিকে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা ফরাসি মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস ক্যালামার্ড সৌদির বিরুদ্ধে এবার লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াটসঅ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মোবাইলফোন কীভাবে হ্যাক করলেন, সহকর্মী ডেভিড কেইকে নিয়ে তার বিস্তারিত প্রমাণ তুলে ধরেছেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। সম্প্রতি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড’র ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে জাতিসংঘের বাকস্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড কেই বলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যখন ক্যালামার্ড তদন্ত শুরু করেন তখন তিনি সন্দিহান ছিলেন সফল হতে পারবেন কিনা। তবে খাসোগির ওপর চালানো নির্যাতনের শেষ মুহূর্তের বিভৎস বিবরণ উঠে এসেছিল তার জোরালো তদন্তেই।

এদিকে, ২০১৮ সালের ১ মে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পাঠানো একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের পর বেজোসের ফোন হ্যাকড হয়ে যায়। ওই নাম্বারটি সালমান নিজে ব্যবহার করতেন। সেই ভিডিও বার্তায় ক্ষতিকর ফাইল সংযুক্ত ছিল যার কারণে বেজোসের মোবাইল হ্যাকড হয়। এতে বেজোসের ফোন থেকে বড় ধরনের তথ্য চুরি করা হয়। তবে তা কী ধরনের তথ্য এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি কেউ।
ওই ঘটনার নয় মাস পর বেজোসের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্পর্শকাতর খবর প্রকাশ করে মার্কিন সাময়িকী ন্যাশনাল এনকোয়ারার। বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করতেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। বেজোসের ফোন হ্যাক করার ৫ মাস পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগিকে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। খাশোগি সৌদি সরকারের সমালোচনা করে কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ হত্যার জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকেই দায়ী করা হয়েছিল। এ বিষয়ে বেজোসের আইনজীবনী মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে শুরু হওয়া তদন্তে বেজোস সহায়তা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button
Close