চলাচলের রাস্তা দখল করে নির্মাণ-সামগ্রী রাখলে কঠোর ব্যবস্থা: ইউএনও শেরপুর
ষ্টাফ রির্পোটার: বগুড়ার শেরপুরে চলাচলের রাস্তা অপদখল করে নির্মাণ-সামগ্রী রাখলেই কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী শেখ। তিনি এ উপজেলার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন- জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা অপদখলপূর্বক নির্মাণ-সামগ্রী, ইট-পাথর-খোয়া-সিমেন্ট-বালু-মাটি-রড, কাঠের গুঁড়ি, যানবাহন রেখে বা অন্য কোনভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। সকলকে এই বিধান মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণের কার্যাবলীর ২০১৩ সালের নীতিমালায় দেখা যায় ৬৩ টি কার্যাবলী সন্নিবেশিত হয়েছে। যার প্রতিটি পয়েন্টে আরো বহু সাব পয়েন্টে বিভক্ত। উক্ত ৬৩ টি কার্যাবলীর ৪নং কার্যাবলী হলো ০৪.জনশৃংখলা ও জননিরাপত্তা: এই ৪ নং কার্যাবলীর যে ১৭ টি সাব পয়েন্ট রয়েছে তার ৫ নং সাব পয়েন্টে বলা আছে সরকারি সম্পত্তির (জমাজমি, দালান কোঠা ইত্যাদি) দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কার্যক্রম। এই কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকেন ইউএনও। আর এ ধরণের জনশৃংখলা ও জননিরাপত্তার কার্যক্রমে যারা ব্যাঘাত ঘটায় তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও ব্যবস্থা নিতে পারেন ইউএনও। কারণ, ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি ও ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশনস্ অনুযায়ী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেসী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি সম্পর্কিত যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে।